নিউজ ডেস্ক: এরাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ বলে দাবি করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুক্রবার শালবনির নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু স্টেডিয়ামে ৪০তম রাজ্য প্রাথমিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “শিক্ষকতা নিয়োগে কোনও দল বা দলীয় নির্দেশিকা প্রভাব ফেলে না। যোগ্যতার ভিত্তিতেই নির্বাচন করা হয়। সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা মেনেই শিক্ষক নিয়োগ করা হয়।” শুক্রবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল, সচিব রঞ্জনঝা সহ একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব।প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদেরস ভাপতি গৌতম পাল ও সচিব রঞ্জনঝা-র প্রশংসা করেন শিক্ষামন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষার মানোন্নয়ন
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে কাজ করছে উল্লেখ করে ব্রাত্য বসু বলেন, “এটি অন্য রাজ্যের জন্য অনুকরণীয়।” এছাড়া, খেলাধুলায় বাংলার অগ্রগতির কথা টেনে তিনি জানান, আগে এশিয়াডের মতো প্রতিযোগিতায় সাফল্য থাকলেও খেলোয়াড়দের চাকরি দেওয়া হতো না। মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় পর্যায়ে সাফল্য অর্জনকারী খেলোয়াড়দের চাকরির নিয়োগপত্র সরাসরি তুলে দিচ্ছেন। সম্প্রতি সন্তোষ ট্রফিজয়ী বাংলা দলের সদস্যদের চাকরি প্রদান এর উজ্জ্বল উদাহরণ।”
ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ১১০০ প্রতিযোগী শিশুদের অংশগ্রহণ
এই বছর রাজ্য প্রাথমিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ২৩টি জেলা থেকে ১১০০ প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। মন্ত্রী বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে এতে মাদ্রাসা, শিশু শিক্ষাকেন্দ্র এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ক্রীড়া আয়োজনের জন্য ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, পাশাপাশি প্রতিটি জেলাকে ৭ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
২০২৬ নির্বাচন ও দলীয় ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য করে তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির দায়িত্ব প্রসঙ্গে বসু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যা নির্দেশ দেবেন, দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে তা মেনে নেওয়া আমার কর্তব্য।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পর্বতন্ত্রণ মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া, সাংসদ জুন মালিয়া, কালীপদ সোরেন, শিউলি সাহা ও শ্রীকান্ত মাহাতো প্রমুখ।
জঙ্গলমহলের প্রতিভা উৎসাহিত
শিক্ষামন্ত্রী জঙ্গলমহল অঞ্চলের ক্রীড়া প্রতিভার প্রতি আলোকপাত করে বলেন, “এখানকার অনেক যুবক ফুটবলে দক্ষতা দেখিয়ে কলকাতা ও জাতীয় দলে জায়গা করে নিচ্ছেন। সরকার এধরনের প্রতিভা উৎসাহিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে শালবনিতে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে, যা রাজ্যের খেলাধুলা ও শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন প্রেরণা যোগাবে বলে আশাবাদী প্রশাসন।