নিউজ ডেস্ক: এবার এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করা হল। শীতলকুচি হাইস্কুলে ৮১ পড়ুয়ার শিক্ষাশ্রীর টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অঙ্কের শিক্ষক শৌভিক বর্মনকে। ট্যাব কান্ডের পর এবার ‘শিক্ষাশ্রী’ প্রকল্পের অর্থ তছরুপ কাণ্ডে ধরপাকড় শুরু করল পুলিশ।
প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, অন্তত ৮১ জন পড়ুয়ার ‘শিক্ষাশ্রী’ প্রকল্পের অর্থ নিজের স্ত্রী-সহ আত্মীয়স্বজনের অ্যাকাউন্টে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় শীতলকুচি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ।
অনগ্রসর শ্রেণি ও কল্যাণ দপ্তরের কোচবিহার জেলা আধিকারিক জয়ন্ত মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘শিক্ষাশ্রী’ প্রকল্পে একজন পড়ুয়া ৮০০ টাকা করে পায়। ওই প্রকল্পের পড়ুয়াদের অর্থ তাদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকছে বলে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। শীতলকুচি হাই স্কুলের অভিযুক্ত শিক্ষক নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তিনি ৮১ জন পড়ুয়ার প্রাপ্য অর্থ অন্য অ্যাকাউন্টে দিয়েছেন। তিনি ওই স্কুলের‘শিক্ষাশ্রী’ প্রকল্পের নোডাল অফিসার ছিলেন। আর তাই তিনি এই কাজটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় আরও ছাত্র-ছাত্রীদের অর্থ অন্য অ্যাকাউন্টে গিয়েছে কি না সেটা পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে।
শীতলকুচি হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পবিত্র বর্মন বলেন, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরই শিক্ষক শৌভিক বর্মনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তিনি গত পাঁচ বছরের মধ্যে দু’টি ধাপে প্রায় চার বছর ‘শিক্ষাশ্রী’ প্রকল্পের নোডাল অফিসার ছিলেন। কাজেই এই সময়ের মধ্যে তিনি ঠিক কতজনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের অর্থ অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়েছেন, সেটা পুলিশ তদন্ত করছে।