নিউজ ডেস্ক: ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এক জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, “২০২৬-এ পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু সরকার হবে। আমরা সব হিন্দু বাড়িতে গীতা পৌঁছে দেব। হিন্দু ধর্ম জিন্দাবাদ।”
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “২০২৬-এ পশ্চিমবঙ্গে ‘হিন্দু সরকার’ হবে। সব হিন্দুরা এক আছে তো? হিন্দু সরকার হবে ছাব্বিশে। হিন্দু সরকার হবে। আমরা সব হিন্দু বাড়িতে গীতা পৌঁছে দেব। হিন্দু ধর্ম জিন্দাবাদ। দুনিয়ার হিন্দু এক হও।” তাঁর এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের তীব্র প্রতিক্রিয়া
এই নিয়ে তৃণমূলের এক মুখপাত্র বলেন, “এই ধরনের সাম্প্রদায়িক মন্তব্য রাজ্যের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষদের মিলিত আবাসভূমি। এমন মন্তব্য করে শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছে।”
তৃণমূলের পাশাপাশি সিপিএম ও কংগ্রেসও এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য, “রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার ভারতের সংবিধানের মূল চেতনাকে আঘাত করে। শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য বিজেপির প্রকৃত অভিসন্ধিকে প্রকাশ করেছে।”
বিজেপির পক্ষে সাফাই
বিজেপি নেতারা অবশ্য শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যকে সঠিক বলে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, “বাংলায় হিন্দুদের ওপর যে অবিচার চলছে, তা বন্ধ করতে হিন্দুদের এক হওয়া জরুরি। শুভেন্দু যা বলেছেন, তা হিন্দু সমাজের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।”
নির্বাচনের আগে উত্তপ্ত রাজনীতি
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক মেরুকরণের আভাস স্পষ্ট। শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য বিজেপির নির্বাচনী কৌশল কি না, তা নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে। শাসক ও বিরোধী শিবিরের এই বাকযুদ্ধ নতুন বছরের রাজনীতিকে কোন পথে নিয়ে যাবে, তা দেখার অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।