নিউজ ডেস্ক: ন্যায় বিচার চেয়ে ধর্মতলায় রাত জাগছেন চাকরিচ্যুত কয়েকহাজার শিক্ষক শিক্ষিকা। তাদের দাবি আমরা যোগ্য, কোথাও আমাদের দুর্নীতির প্রমাণ নেই তাহলে কিছু অযোগ্যদের জন্য আমাদের বলি হতে হবে কেন? অবিলম্বে সেগ্রিগেশন করে আদালতকে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক সরকার ও এসএসসি।
সোমবার এই যোগ্য শিক্ষকদের ধর্না মঞ্চে উপস্থিত হন বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স এসোসিয়েশনের রাজ্যসম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য উনার সাথে আরও ছিলেন প্রতাপ মন্ডল, ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, অসিত রঞ্জন মৃধা সহ অনেক প্রতিনিধিবৃন্দ।
বি জি টি এর রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও এসে শিক্ষকদের রাস্তায় রাত কাটাতে হচ্ছে এটা দুর্ভাগ্যের বিষয়। রাজ্য সরকারের উচিত অবিলম্বে উদ্যোগ নিয়ে এই সমস্ত যোগ্য শিক্ষকদের জন্য যথাযথ সেগ্রিকেশন করে আদালতকে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে সাহায্য করা।
তিনি আরো বলেন, আমরা আন্দোলনকারী সংগঠনের নেতৃত্বের সাথে কথা বলে আশ্বস্ত করেছি সমস্ত রকম ভাবে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি। তিনি আরো বলেন প্রয়োজন হলে আমরা সমস্ত শিক্ষক সংগঠন মিলে একই সাথে রাস্তায় নামবো।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৪ এপ্রিল মাসে এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। ওই রায়ের বিরোধিতা করে এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনও শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। গত শুনানিতে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা না-গেলে পুরো প্যানেল বাতিলের পথে হাঁটতে হতে পারে।” আগামী ৭ জানুয়ারি গুরুত্বপুর্ন এই মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।