নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে পুনরায় পাশ-ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্রীয় সরকার শিশুদের বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার বিধিমালা, 2010 সংশোধন করেছে, নিয়মিত পরীক্ষার জন্য বিধান প্রবর্তন করেছে এবং 5 ও 8 শ্রেণীতে ফেল করলে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সেই ক্লাসেই থাকতে হবে।
পূর্বে, রাজ্য সরকারগুলির ডিটেনশন নীতিগুলি বাস্তবায়নের বিচক্ষণতা ছিল। যদিও 18টি রাজ্য নো-ডিটেনশন নীতি থেকে বেরিয়ে এসেছে, সমান সংখ্যক এটিকে ধরে রেখেছে।
16 ডিসেম্বর থেকে কার্যকর নতুন “অবাধে বাধ্যতামূলক শিশু শিক্ষার সংশোধনী বিধিমালা 2024” এর অধীনে, ক্লাস 5 এবং ক্লাস 8 এর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি শিক্ষাবর্ষের শেষে নিয়মিত যোগ্যতা-ভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
যদি কোনো শিক্ষার্থী পদোন্নতির মানদণ্ড পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ফলাফল ঘোষণার দুই মাসের মধ্যে তাদের অতিরিক্ত নির্দেশনা এবং পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে।
এই বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে পুনরায় পাশ ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু সার্বিক ভাবে জাতীয় শিক্ষানীতির পরিবর্তন চাই। সারাদেশের ক্ষেত্রে সমস্ত বোর্ডে যেন তা কার্যকরী হয়। এটা প্রমাণ হলো শিক্ষা জগতের সঙ্গে যুক্ত সবাই – শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, অভিভাবকদের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই পাশ ফেল প্রথা তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করা হয়েছিল তা সঠিক ছিল। তাকে কর্ণপাত না করেই এই নীতি চালু করা হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল এবং এর ফলে বেশ কয়েকটি প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হলো।”
তিনি আরও বলেন, “এই নীতি শুধু কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য নয়, সারা দেশের সমস্ত বোর্ডের ক্ষেত্রে ফিরিয়ে আনা হোক। পাশাপাশি আমরা দাবি করছি এমন শিক্ষা পরিকাঠামো এবং সার্বিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে যার মধ্য দিয়ে কোনভাবেই সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীরা ফেল করবে না। আনন্দের মধ্য দিয়ে কাঙ্খিত মান অর্জনের মধ্য দিয়ে তারা উত্তীর্ণ হবে। আমরা এও দাবি করছি রাজ্য সরকার রাজ্যের ক্ষেত্রেও পাশ ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনার কথা ঘোষণা করুক এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় সার্বিকভাবে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তুলুক। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গুণগত মান ফিরে আসুক।’