আংশিক সময়ের শিক্ষক: ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা নিযুক্ত বিদ্যালয় আংশিক সময়ের শিক্ষকদের (Part-time Teacher) ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজের নিশ্চয়তা প্রদান এবং সরকারি আওতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করা হল।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সরকারি ও আধা সরকারি বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা (Part-time Teacher) কেউ ৫ বছর, কেউ ১০ বছর, কেউ ১৫ বছরের বেশি নিষ্ঠার সঙ্গে বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষাদান করে চলেছেন। বিদ্যালয়ের স্থায়ী শিক্ষকের মতোই প্রত্যেকদিন ১১ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে কাজ করতে হয় এবং প্রতিদিন ৪ টি/৫টি করে ক্লাস নিতে হয়।বিদ্যালয়ে পাঠদানের সাথে সাথে খাতা দেখা, প্রশ্নপত্র তৈরি করা, বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা, খেলাধুলা পরিচালনা ইত্যাদি সমস্ত কাজ করতে হয়।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটি শিক্ষক পদে নিয়োগ করেন এবং স্কুলফান্ড থেকে আমাদের খুবই কম মাসে ২০০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা সাম্মানিক দেওয়া হয়। সারা রাজ্যে এইরূপ শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় দশ হাজার জন।শিক্ষকদের সকল তথ্য কলকাতা উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিল অফিস বিদ্যাসাগর ভবনে ডেপুটি সেক্রেটারি একাডেমিক সেকশনে এবং রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয় গুলিতে রয়েছে।
আংশিক সময়ের শিক্ষকরা চান, সরকার তাদের স্থায়ীকরণ করে বাঁচার মতো একটা ব্যবস্থা করুক। শিক্ষকরা সকলে একত্রিত হয়ে ২০১৯ সালের শুরু থেকে বারবার সরকারের কাছে স্থায়ীকরণের জন্য আবেদন করে আসছে। সকল জেলায় ডি আই,বিভিন্ন এম এল এ , মন্ত্রী ,কলকাতা বিকাশ ভবনে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী, নবান্ন ও কালিঘাটে আপনার অফিসে বারবার আবেদন করেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি।
পার্ট টাইম টিচার ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি সমীর কুমার দেওঘোরিয়া বলেন, “বর্তমানে পশ্চিমবাংলা প্রকৃতই উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। মা মাটি মানুষের সরকার বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করার ফলে সমস্ত মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ করা হয়েছে। কলেজের আংশিক সময়ের অধ্যাপকদের স্থায়ীকরণ করা হয়েছে। আমরা চাই আমাদেরও সরকারি আওতার মধ্যে নিয়ে আসা হোক। আমাদের অনুরোধ, ১) ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজের নিশ্চয়তা প্রদান। ২) আমাদের সরকারি আওতার মধ্যে নিয়ে আসা হোক।”