অসাধারণ: মুখ দিয়েই কম্পিউটার চালান! ৫০ লক্ষের চাকরি ছেড়ে খড়্গপুর আইআইটি থেকে ডিগ্রির প্রস্তুতি তুহিনের

আমেরিকার একটি ব্যাঙ্ক এবং একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে মোটা মাইনের চাকরির সুযোগ এসেছিল। কিন্তু বছরে ৫০ লক্ষ টাকা আয়ের হাতছানি থেকে আপাতত দূরে তুহিন। আরও পড়াশোনা করতে চান।

228

নিউজ ডেস্ক: মুখে কম্পিউটার চালান! ৫০ লক্ষের চাকরি ছেড়ে খড়্গপুর আইআইটি থেকে ডিগ্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তুহিন দে। খড়্গপুর শহরের মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা তুহিনের দু’হাত এবং দু’পা অচল। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনও তাঁর লক্ষ্যপূরণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

বসতে হলে হুইলচেয়ারই ভরসা। হাত এবং পা না-চললেও দারুণ ‘মুখ চালান’ তুহিন। মুখে কলম এবং পেনসিল ধরে পরীক্ষা দিয়েছেন। পড়াশোনায় আগাগোড়া ভাল এই যুবক কম্পিউটার সায়েন্সে বিটেক করেছেন। মুখ দিয়েই কম্পিউটার চালান। মুখে কলম দিয়ে কিবোর্ডে টাইপ করেন। আরও পড়াশোনা করবেন বলে সদ্য বিদেশি কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ ছেড়ে দিয়ে আইআইটি খড়্গপুর থেকে এমটেক এবং পিএইচডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

 খড়্গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে মাধ্যমিক পাশ করেন তুহিন। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন রাজস্থানের কোটা থেকে। তার পর শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বিটেক করেছেন। পরীক্ষার সময় তুহিন কখনও কারও সাহায্য নেননি। মুখে কলম এবং পেন্সিল নিয়ে লেখালিখি করতে কোনও সমস্যা হয় না তাঁর।

তুহিনের কথায়, ‘‘আমি মুখ দিয়েই পেন বা পেনসিল দিয়ে লিখি। কোনও সমস্যা হয় না। আর পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত সময়ও নিই না। তবে পরীক্ষার সময় কাগজ নেমে গেলে বা পাতা ওল্টানোর সময় শিক্ষকেরা সাহায্য করেছেন। ছবি আঁকা হোক বা কম্পিউটার চালানো, কোনও কিছুতেই অসুবিধা হয় না।’’

পড়ুন:  অতিরিক্ত ট্রেনিংয়ের জন্য নির্ধারিত রেমুনারেশন দিতে হবে! ভোট প্রশিক্ষণ নিয়ে পর্যবেক্ষকের নির্দেশ ঘিরে ক্ষুদ্ধ ভোট কর্মীরা

আমেরিকার একটি ব্যাঙ্ক এবং একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে মোটা মাইনের চাকরির সুযোগ এসেছিল। কিন্তু বছরে ৫০ লক্ষ টাকা আয়ের হাতছানি থেকে আপাতত দূরে তুহিন। আরও পড়াশোনা করতে চান।