নিউজ ডেস্ক: মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোট কর্মীদের জন্য ট্রেনিং সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় স্পেশাল ট্রেনিং-এর কেন ব্যবস্থা করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ভোট কর্মীদের মধ্যে। প্রিসাইডিং অফিসার এবং প্রথম পোলিং অফিসারের নির্ধারিত তিনটে ট্রেনিং নেওয়ার পরেও চতুর্থবার ট্রেনিং এ ডাকা হয়েছে। আর দ্বিতীয় এবং চতুর্থ পোলিং অফিসারের নির্ধারিত দুবার ট্রেনিং নেওয়ার পর তৃতীয়বার পুনরায় ট্রেনিংয়ের চিঠি দেওয়া হয়েছে। অনেক ভোট কর্মী এই চিঠি পেয়েছেন।
খবর নিয়ে জানা যাচ্ছে জেনারেল অবজারভারের নির্দেশে নাকি এটি হচ্ছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, কি কারনে এবং অতিরিক্ত একদিনের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ থাকবে কিনা বা অন্যান্য বিধানসভার উপ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কি?
এই নিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “আমরা নির্বাচন দপ্তরের এই ধরনের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি আমি নির্বাচন কমিশন দপ্তরের সিইও এবং অ্যাডিশনাল সিইওদের জানিয়েছি। বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে কমিশন।”
তিনি আরও বলেন, “ট্রেনিং নেওয়া সত্বেও অতিরিক্ত একদিন ট্রেনিংয়ের চিঠি পাঠানো হলো মেদিনীপুর বিধানসভার অধীন প্রতিটি ভোট কর্মীর উদ্দেশ্যে। আগামী ৯ নভেম্বর হবে অতিরিক্ত এই ট্রেনিং। আমিও প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে সেই ভোট কর্মীদের মধ্যে একজন। প্রতিবাদ করে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম কিন্তু কর্ণপাত করা হয়নি। আমরা দাবী করছি, অতিরিক্ত এই ট্রেনিং-এর জন্য নির্ধারিত রেমুনারেশন ও রিফ্রেশমেন্টের অর্থ দিতে হবে। ৬ টি বিধানসভা উপ নির্বাচনে ভোট কর্মীদের জন্য হালকা শীতে রাতে থাকার মশারি সহ সমস্ত রকমের উপযুক্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ দাবি আমরা তুলে ধরছি নির্বাচন কমিশনের কাছে।”