Home পশ্চিমবঙ্গ এবার বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের দাবি উঠল! বিধানসভায় রিপোর্ট পেশ স্ট্যান্ডিং কমিটির

এবার বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের দাবি উঠল! বিধানসভায় রিপোর্ট পেশ স্ট্যান্ডিং কমিটির

1192
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রাত্য বসু

নিউজ ডেস্ক: আরও বেশি বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ হোক! বিধানসভায় রিপোর্ট পেশ করল স্কুল শিক্ষার স্ট্যান্ডিং কমিটি। জেলাভিত্তিক এই রিপোর্ট সম্প্রতি বিধানসভায় জমা দিয়েছে স্কুল শিক্ষা সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটি।

গত চার বছরে পরপর জেলাভিত্তিক এই রিপোর্ট সম্প্রতি বিধানসভায় জমা দিয়েছে স্কুল শিক্ষা সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটি। সেখানে বলা হয়েছে, স্ট্রিম অনুযায়ী সরকারি স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করল স্কুল শিক্ষা বিষয়ক বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি। একইসঙ্গে যোগ্য শিক্ষকদের কথা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট স্কুলে পড়ুয়াদের সংখ্যার অনুপাত সঠিক রয়েছে কি না তা-ও যাচাই করার কথা জানিয়েছে স্ট্যান্ডিং কমিটি। 

এই বিষয়ে, কমিটির বক্তব্য, দীর্ঘদিন রাজ্য সরকারি স্কুলে শিক্ষক আর পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট অনুপাতে মিল নেই। যেখানে সায়েন্সের ভাল শিক্ষক আছে, সেখানে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ওই স্ট্রিমের পড়ুয়া নেই। আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে উলটো। ভাল পড়ুয়া থাকলেও নির্দিষ্ট বিষয় পড়ানোর শিক্ষকের অভাব। তাই অবিলম্বে সেসব স্কুলে শিক্ষক বা শিক্ষিকা নিয়োগ প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সমস্ত স্কুলে নির্দিষ্ট করে সামঞ্জস্য রেখে সায়েন্স ও আর্টসের স্ট্রিম রাখতে হবে, যাতে স্কুলগুলিতে পড়য়াদের সংখ্যার অনুপাত কমে না যায়।

স্কুল শিক্ষা সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি হাওড়ার শ্যামপুরের বিধায়ক কালীপদ মণ্ডলের কথায়, “সরকারকে এ নিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। বিভিন্ন জেলায় এত ভাল ভাল শিক্ষক থাকার পরও বেশ কিছু স্কুল ঘুরে আমরা দেখলাম সেখানে উচ্চ শিক্ষায় পড়ুয়ার অভাব। ছেলেমেয়েদের মধ্যে গভীরে পড়াশোনার অভাব থেকে যাচ্ছে। নদিয়ার বেশ কিছু স্কুলে এই ছবি দেখা গিয়েছে। আবার বীরভূমের একাধিক স্কুলে উল্টো ছবি। বীরভূম জেলার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলোয় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকের অপ্রতুলতার কারণে ছাত্রছাত্রীরা বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করতে পারছে না।’ কমিটি সুপারিশ করেছে, ইংরেজি মাধ্যম সরকারি স্কুলের চাহিদার কথাও। স্কুল শিক্ষ দপ্তরের উদ্দেশে লেখা এই রিপোর্টে উল্লেখ, ‘রাজ্য সরকার পরিচালনাধীন ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয়ের চাহিদা প্রচুর।’

পড়ুন:  তবে কি ফের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা? গৌতম পাল যা জানালেন