নিউজ ডেস্ক: এবার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক (স্পেশাল এডুকেটর) নিয়োগের প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে সকল রাজ্য সরকারকে কড়া নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে দায়ের করা মামলার শুনানিতে আজ এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যগুলোকে আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বলেছেন। পাশাপাশি, অস্থায়ী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের জন্য বিশেষ কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পটভূমি
২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর ও ২০২৪ সালের ১২ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশিকা জারি করে। প্রতি ১০ জন প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে প্রতি ১৫ জনের জন্য ১ জন স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগের কথা বলা হয়। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা থাকলেও বেশিরভাগ রাজ্য, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে, এ বিষয়ে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের দাবি, রাজ্যে প্রায় ২ লক্ষ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী থাকলেও পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে তাদের সঠিক শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের হলফনামায় দাবি করা হয়, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৯৬ জন।
আজকের শুনানি
মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী ও সুখেশ ঘোষ অভিযোগ তোলেন, সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী নির্দেশ সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগে গড়িমসি করছে। এর ফলে শিক্ষার্থী ও অস্থায়ী শিক্ষকরা সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আদালত রাজ্যগুলোকে ২৮ মার্চের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি ও শূন্যপদ পূরণের তাগিদ দেন। এছাড়া, সমগ্র শিক্ষা মিশনে কর্মরত অস্থায়ী শিক্ষকদের স্থায়ী করতে বিশেষ কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরবর্তী পদক্ষেপ
মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ১৫ জুলাই। আদালতের এই হস্তক্ষেপে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের পঠনপাঠনের মানোন্নয়ন ও স্পেশাল এডুকেটরদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
সংক্ষেপে
– ২৮ মার্চের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ।
– প্রতি ১০ প্রাথমিক ও ১৫ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর জন্য ১ শিক্ষক।
– অস্থায়ী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণে কমিটি গঠন।
– পরবর্তী শুনানি ১৫ জুলাই।
এই আদেশ শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।