নিউজ ডেস্ক: উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষম্পদে যোগ দিয়ে ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) ২০১২ সালের রিজিওনাল লেভেল সিলেকশন টেস্টে সফল হয়ে উত্তর ২৪ পরগনার রবীন্দ্রনাথ দাস এসএসসি-র ২০১২ সালের আরএলএসটি পরীক্ষায় সফল হন। তিনি জেলার এক স্কুলে ক্লার্ক হিসেবে জয়েন করেছিলেন।
সম্প্রতি এসএসসি থেকে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষকতার সুপারিশপত্র পেয়ে আগের চাকরি থেকে লিয়েন নিয়ে জেলার অন্য স্কুলে জয়েন করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু
নতুন স্কুলের তরফে তাঁকে নিয়োগপত্র দিতে আপত্তি জানানো রবীন্দ্রনাথকে বলা হয়, লিয়েন নিয়ে জয়েন করতে পারবেন না। আগের স্কুলে শিক্ষাকর্মী পদে ইস্তফা দিতে হবে। তবেই নতুন স্কুলে শিক্ষক পদে জয়েন করতে পারবেন।
এই নিয়ে রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য, ‘আদালতের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকে এই নিয়োগ হচ্ছে। শিক্ষক হিসাবে কনফার্মেশন পাওয়ার আগেই ক্লার্কের চাকরিতে ইস্তফা দিলে ভবিষ্যতে আবার টিচার পদে আইনি জটিলতা হলে আমাদের কী হবে? ‘
তবে স্কুলশিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা আবার বলছেন, রাজ্যের সব স্কুলে এখন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের বেতন দেওয়া হয় আইওএসএমএস পোর্টালের মাধ্যমে। সেখান থেকে আগে শিক্ষাকর্মীর নাম ডিলিট করতে হবে। তা না হলে যাঁরা শিক্ষক পদে জয়েন করেছেন, তাঁদের ডুপ্লিকেট এন্ট্রি দেখাবে। সে জন্যেই অ্যাপ্রুভাল ও বেতন আটকে রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিকাশ ভবনের কর্তাদের বক্তব্য, আগের চাকরিতে ইস্তফার পরেই শিক্ষকতায় যোগ দিয়ে তার পর সার্ভিস কন্টিনিউয়েশনের জন্যে স্কুলশিক্ষা ও অর্থ দপ্তরে আবেদন করতে হবে।