নিউজ ডেস্ক: উচ্চ প্রাথমিকে তুঙ্গে সদ্য সুপারিশপত্র হবু শিক্ষকদের একাংশের নিয়োগে অনিশ্চয়তা। স্কুল পরিচালন সমিতি (এমসি) নাকি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর? এই দুইয়ের টানাপড়েনে নাকাল হচ্ছেন হবু শিক্ষকরা। দীর্ঘ ১০ বছর পর উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ এই সমস্যায় পড়েছেন।
এই প্রার্থীদের হাতে দুমাস ধরে রয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগের সুপারিশপত্র। যদিও নিয়োগ পত্র পাচ্ছেন না। ফলে একরকম দিশেহারা অবস্থা। দীর্ঘ কয়েক বছর পর চাকরি পাওয়ার আনন্দও যেন ভাটা পড়েছে।
আসলে অনেক স্কুলের ইতিমধ্যে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির (এমসি) মেয়াদ ফুরিয়েছে। আবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ মতো বহু স্কুলে প্রশাসকও নিযুক্ত হননি স্কুলে-স্কুলে। এর সঙ্গে রয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রশাসক নিয়োগ করার ক্ষেত্রে ডিআই-দের সমন্বয়ের অভাব। তারই প্রভাব পড়েছে শিক্ষকদের নিয়োগে।
এই অবস্থায় নিয়োগপত্রের আশায় কয়েকশো হবু শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুল, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডিআই-মাধ্যমিক) এবং বিকাশ ভবন ঘুরে ঘুরে হন্যে, কিন্তু সমাধান হচ্ছে না। এ দিকে, কমিশনের সুপারিশ মতো ৯০ দিনের মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়ে স্কুলে জয়েন না করলে সুপারিশ বাতিল হওয়ার কথা, কিন্তু অ্যাপয়নমেন্ট লেটার আর মিলছে না। স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা দেখাচ্ছেন ডিআই’কে।
এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির দাবি, সাধারণত স্থানীয় বিধায়কের সুপারিশ মতোই নাম যায় স্কুলে পরিচালন কমিটি নেই, সেখানে ড্রয়িং অ্যান্ড ডিসবার্সমেন্ট অফিসার (ডিডিও) আছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট স্কুলে প্রশাসক নেই। সেই স্কুলগুলি প্রশাসক চেয়ে ডিআই অফিসে আবেদন করেছে, কিন্তু সে নিয়োগও বহু ক্ষেত্রে অধরাই!