SSC শিক্ষক নিয়োগ: কাউন্সেলিংয়ে না যাওয়ার ঘোষণা করছেন বহু এসএসসির প্যানেলভুক্তরা। ফলে চাকরির সুযোগ আরও বাড়তে চলেছে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের। উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত থাকছেন বিপুল সংখ্যক প্রথম মেরিট প্যানেলভুক্ত প্রার্থী। এর ফলে চাকরি পাওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা।
ইতিমধ্যে হয়ে যাওয়া কাউন্সেলিংয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০ শতাংশ প্রার্থী কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত আছেন। যাঁরা অনুপস্থিত থাকছেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই শিক্ষকতার বা অন্যান্য সরকারি চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। বিপুল সংখ্যক প্রার্থী অনুপস্থিত থাকার ফলে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের চাকরি পাওয়ার সুযোগ আরও বাড়বে।
এর পাশাপাশি ওয়েটিংয়ে থাকা প্রার্থীদের সাহস জোগাতে অনেকেই আগাম জানিয়ে রাখছেন, তাঁরা কাউন্সেলিংয়ে উপস্থিত হবেন না। চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের মাধ্যমে সেই বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের কাছে।
এই নিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, একজন সংরক্ষিত শ্রেণিভুক্ত মহিলা প্রার্থী জেনারেলে র্যাঙ্ক করলে তাঁর জন্য চারটি পদে যোগদানের সুযোগ খোলে। অসংরক্ষিত, সংরক্ষিত, ছেলে এবং মেয়েদের স্কুলে তাঁর জন্য দরজা খোলে। এমন প্রার্থীরা কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত থাকলে আরও চারজন প্রার্থীর সামনে একটা সুযোগ তৈরি হয়। সংরক্ষিত ছেলেদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি হয় দুই। তাই বিভিন্ন বিষয়ের ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের আশা, তাঁরা আজ না হোক কাল চাকরি পাচ্ছেনই। তাছাড়া আদালতেরও নির্দেশও রয়েছে ১৪ হাজার ৫২ জনকেই চাকরি দিতে হবে। সবাই কাউন্সেলিংয়ে উপস্থিত থাকলে সবাইকে চাকরি দেওয়া চ্যালেঞ্জ হত কমিশনের কাছে।
হিসাব অনুযায়ী সোমবার বাংলা বিষয়ে ৩৫০ জনকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। এই প্রার্থীদের মধ্যে অনুপস্থিত ও প্রত্যাখান করা প্রার্থীর সংখা ৬৮ জন। এদিন ইংরেজি বিষয়ের জন্য মোট ৩৫৭ জনকে ডাকা হয়েছিল। অনুপস্থিত ও প্রত্যাখান করা প্রার্থীর সংখা মোট ৭৬ জন। অর্থাৎ মোট অনুপস্থিত ১৪৪ জন।
এর আগে প্রথম দফার কাউন্সেলিং শেষে সুপারিশ পত্র পেয়েছিলেন মোট ৫০৯ জন চাকরিপ্রার্থী। স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল মোট ৬৫৮ জনকে। যার মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ১৪৭ জন এবং কাউন্সেলিংয়ে এসেও সুপারিশ পত্র নেন্নি দু’জন। মোট উপস্থিত ছিলেন ৫০৯ জন।