নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৯ বছরের বেশি সময় ঝুলে ছিল। আইনি জট কাটতেই উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য। এই মুহূর্তে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া পরিচালিত করছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সঙ্গে সঙ্গেই দেওয়া হচ্ছে সুপারিশপত্র। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি দিচ্ছে নিয়োগ পত্র। অনেকেই পেয়ে গেছেন নিয়োগ পত্র। তেমনই একজন হলেন ঋতুপর্ণা সাহা।
বিয়ের আগে নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন, ছেলে কোলে চাকরি! ৮ বছর পর শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্নপূরণ হওয়ায় প্রবল খুশি তিনি। দীর্ঘ কয়েক বছরের প্রতীক্ষার অবসান হয় চাকরি পেলেন ঋতুপর্ণা সাহা। শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নপূরণ হল সোমবার স্কুলের নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে।
খুশির এই দিনটাকে স্মরণে রাখতে ছোট্ট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ঋতুপর্ণা এসেছিলেন বিধাননগরে এসএসসি অফিসে। সুপারিশ পত্র হাতে পেয়ে ঋতুপর্ণা জানালেন, “পরীক্ষা ভালো দিয়েছিলাম, তাই আশা ছিল চাকরি পাবই। অবশেষে পেলাম সেই চাকরি। তবে অনেকটা দেরি হয়ে গেল। যখন আমি পরীক্ষা দিয়েছিলাম, তখন অবিবাহিত ছিলাম। নিয়োগপত্র হাতে পেলাম ছেলেকে কোলে নিয়ে।”
বাংলা বিভাগের হবু শিক্ষক অন্তরা সোম এই নিয়ে জানালেন, “এই নিয়োগের জন্য প্রশাসনের প্রধান, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক, সকলকেই অন্তরের অন্তস্তল থেকে নমস্কার জানাই। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসাদের পর এদিন নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে মনের যন্ত্রণা নিমেষে উবে গিয়েছে। খুব ভালো লাগছে, পরিবারের সকলে খুশি, খুশি বন্ধুবান্ধবরা।”