নিউজ ডেস্ক: অবশেষে রাজ্যে শূন্যপদ পূরণ ও নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে বড় পদক্ষেপ করল নবান্ন। রাজ্য প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মীসংক্রান্ত তথ্য চেয়ে এবার চিঠি পাঠানো হল। কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তর থেকে পাঠানো এই চিঠিতে এলডিএ (লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট), ইউডিএ (আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট), হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং সেকশন অফিসার পদে কর্মীসংখ্যার পরিসংখ্যান চাওয়া হয়েছে।
শূন্যপদের পরিসংখ্যান সংগ্রহ চলছে
এই বিষয়ে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্ত দপ্তরকে নির্দিষ্ট প্রোফর্মায় ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সচিবালয় পর্যায়ের পাশাপাশি দপ্তরগুলির আঞ্চলিক অফিস এবং ডিরেক্টরেট স্তরের অনুমোদিত পদ ও কর্মীসংখ্যার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই স্তরে দপ্তরের ৯৮ শতাংশ কর্মী কাজ করে থাকেন।
২০২৫ সালে নিয়োগের সম্ভাবনা
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ২০২৫ সালে রাজ্যে সরকারি নিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শূন্যপদের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র তৈরি করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা হবে। গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের জন্য নবগঠিত স্টাফ সিলেকশন কমিশনের মাধ্যমে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। গ্রুপ সি এলডিএ পদে নিয়োগের জন্য শীঘ্রই ক্লার্কশিপ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে বলে জানা যাচ্ছে।
পদোন্নতি এবং নতুন পদ সৃষ্টি
সচিবালয় পর্যায়ে কর্মীদের পদোন্নতির জন্য তথ্য সংগ্রহও এই উদ্যোগের একটি অংশ। পদোন্নতির মাধ্যমে শূন্যপদ পূরণের পাশাপাশি নতুন পদ সৃষ্টি করে সচিবালয়ে কর্মীদের উন্নতির সুযোগ বাড়ানো হয়েছে।
প্রশাসনিক মহলের মতামত
প্রশাসনিক মহলের মতে, এই উদ্যোগ শুধুমাত্র শূন্যপদ পূরণের জন্য নয়, বরং সামগ্রিক প্রশাসনিক কাঠামোকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে। কর্মীসংক্রান্ত বিশদ তথ্য পাওয়ার পরই নির্ধারণ হবে কত পদ শূন্য রয়েছে এবং কোন স্তরে কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন।
রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে। ২০২৫ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন লক্ষাধিক চাকরিপ্রার্থী। এখন দেখার বিষয়, এই পরিকল্পনা কত দ্রুত বাস্তবায়িত হয়।