SSC: কারা ওএমআর নষ্ট করে অযোগ্যদের নিয়োগ দিলেন? সিবিআই চার্জশিটে এসএসসি দুর্নীতির এই ‘চারমূর্তি’

2377
স্কুল সার্ভিস কমিশন

নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সদ্যই চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী । OMR এর মিরর ইমেজ প্রকাশ করার দাবি করছেন যোগ্য প্রার্থীরা। তবে প্রশ্ন উঠছে,ওএমআরের তথ্য নষ্ট করলেন কারা? কাদের হাতে হয়েছে অযোগ্যদের নিয়োগ? সিবিআই চার্জশিটে এসএসসি দুর্নীতির প্রধান ‘চারমূর্তি’র নাম এসেছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেক ‘প্রভাবশালী’ নাম এসেছে সেই সমস্ত চার্জশিটে। 

পড়ুন:  BIG NEWS: আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সিলিং সংক্রান্ত নোটিশ দিল SSC, এক ক্লিকেই বিস্তারিত জেনেনিন

এসএসসি দুর্নীতির বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে ‘চারমূর্তি’র প্রত্যক্ষ যোগ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ওএমআর শিটের তথ্য নষ্ট থেকে শুরু করে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ, নম্বরে কারচুপি— তাঁদের বিরূদ্ধে অভিযোগ ভূরি ভূরি। আপাতত তাঁরা প্রত্যেকে জেলে।

শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা

নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এসএসসি-র পরামর্শদাতা পদে কাজ করেছেন শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা। নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছে, দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

সুবীরেশ ভট্টাচার্য

পড়ুন:  SSC: 'বৈঠকে কিছু হয়নি, ওটা একটা ললিপপ, সুপ্রিম কোর্টে করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি'

এসএসসি-র চেয়ারম্যান পদে অনেকদিন ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তাঁর বিরুদ্ধেও বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ এনেছে সিবিআই। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

অশোক সাহা

এসএসসি-র চেয়ারম্যান পদে সুবীরেশের মতো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দায়িত্ব সামলেছেন অশোকও। তাঁর আমলেও দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। ২০২২-এর সেপ্টেম্বরে সুবীরেশের সঙ্গেই অশোককেও গ্রেফতার করা হয়।

পড়ুন:  SSC: আমরা কী করতে পারি? ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব বলে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

এসএসসি-র সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও বহুদিন ধরেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনিও অযোগ্যদের নিয়োগের ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁকেও সিবিআই গ্রেফতার করে ২০২২ সালে।