নিউজ ডেস্ক: সদ্যই স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকারের তরফে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হল। শুক্রবার, ৩০ মে শূন্যপদ পূরণের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কিন্তু যাঁরা একবার পরীক্ষা দিয়ে ‘যোগ্যতা’ প্রমাণের পর চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা নতুন করে পরীক্ষায় বসতে নারাজ। বরং তাঁদের দাবি, সসম্মানে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হোক ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের।
এই বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “এসএসসি-র নতুন নিয়োগ পদ্ধতি দেখে মনে হল কেস করার সমস্ত সুযোগ রেখে সরকার আর কোনদিন নিয়োগ করবে না। ইন্টারভিউতে ১০ এবং লেকচার ডেমনস্ট্রেশনে ১০ নম্বর বরাদ্দ রেখে দুর্নীতির বড় জায়গা রেডি রাখা হলো। এই প্রক্রিয়ায় যোগ্য শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের চাকরি ফিরে পাওয়ার আশা একেবারেই ক্ষীণ। আমরা এর সম্পূর্ণ প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আজ আমরা রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এবং বিকাশ ভবনে ডেপুটেশন দিলাম।”
শুক্রবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির পর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, পরীক্ষার জন্য ফর্ম ফিলআপ কি করবেন? বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে মোটের উপর তা স্পষ্ট করে দিলেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। জানালেন, এখনও তাড়াহুড়ো করে ফর্ম ফিলআপ নয়, রাজ্য সরকারের দায়ের করা রিভিউ পিটিশনের শুনানি আগে হোক। তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
স্কুল শিক্ষা দফতরের নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়ম ঘিরে ফের বিতর্ক। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন(এসএসসি)। এর পাশাপাশি এবারের পরীক্ষার নিয়োগ বিধিও জানানো হয়েছে। আর তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলছেন, ২০১৬ সালে যে নিয়মে পরীক্ষা হয়েছিল, তার বদল হলেই এবার পরীক্ষাও বাতিল হবে। স্কুল শিক্ষা দফতরের নতুন নিয়োগ বিধি নিয়ে বিকাশরঞ্জন বলেন, “যাই করুন না কেন, ২০১৪ এবং ২০১৬ সালের যে নিয়ম ছিল, সেই নিয়ম মেনেই পরীক্ষা নিতে হবে। তার বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা এই রাজ্য সরকারের নেই। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিতে তারা বাধ্য। অন্য কিছু করলেই আবার বিপদে পড়বে।”
এরপরই তিনি বলেন, “২০১৬ সালের নিয়মের বাইরে গেলেই তা বাতিল হয়ে যাবে। ২০১৬ সালে যে নিরিখে পরীক্ষা হয়েছিল, সেই নিরিখেই পরীক্ষা হতে হবে। দুর্নীতির জন্য ২০১৬-র সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়েছে। সেই চাকরির সুবিধা কেউ পেতে পারে না, এটা বোঝা উচিত।” ওএমআর সংরক্ষণের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে অবশ্য স্বাগত জানান তিনি।