এসএসসি সুপ্রিম কোর্ট: আজ এসএসসি (SSC) ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি হল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শুনানি হল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে। এসএসসি মামলার ফের শুনানির তারিখ দেওয়া হল। এসএসসি 26000 শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারি হবে। ওইদিন দুপুর ২টোর পর শুনানি হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এদিন আইনজীবি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য নিয়োগ বিভিন্ন দুর্নীতির কথা তুলে ধরে নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তোলেন। তবে নতুন করে পরীক্ষায় বসা সম্পূর্ণরূপে অনৈতিক দাবি বলে মনে করছেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
বিকাশরঞ্জন বলেন, পরীক্ষায় না বসেই অনেকে চাকরি পেয়েছেন। সন্দেহ থাকলে পুরো প্যানেল বাতিল করেই নতুন করে নিয়োগ করা উচিত। তাঁর অভিযোগ, এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। যদিও নতুন করে নিয়োগের বিষয়টিতে আপাতত একমত নয় সুপ্রিম কোর্ট। বিকাশরঞ্জনের বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, নতুনভাবে নিয়োগ করতে গেলে অনেক জটিলতা তৈরি হবে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার স্বাভাবিকভাবেই কোনও নির্দেশ দেননি তিনি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি।
এক শিক্ষিকা বলেন, “নতুন করে পরীক্ষায় বসা সম্পূর্ণরূপে অনৈতিক দাবি। আমরা সকলেই তাঁকে সম্মান জানিয়ে এটাই বলতে পারি, তিনি তো একজন ন্যায়ের আদালত। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তিনি তো একটা উপায় বের করতে পারেন যে, কী করে যোগ্য এবং অযোগ্যকে পৃথক করা যায়। তিনি বারবার কেন গোটা প্যানেলটা বাতিল করার কথা বলছেন ? এর সুরাহা বের করে তিনি যোগ্যদের আলাদা করে, অযোগ্যদের প্যানেল থেকে বাতিল করার কথা বলতে পারেন।”
আরও এক শিক্ষিকা বলেন, “একমত নই একেবারেই। উনি আইনজীবী হিসাবে একটা ওয়ে-আউট রাখতে পারেন, রি-এক্সামিনেশন দিল হয়তো ব্যাপারটা ক্লিয়ার হবে। কিন্তু আমরা যেটা বারেবারে বলতে চেয়েছি, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই, সেটা কিন্তু প্রমাণিত। সিবিআই দ্বারা প্রমাণিত, বাগ কমিটি দ্বারা প্রমাণিত। এসএসসি বলছে কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। সম্মানীয় বিকাশরঞ্জন স্যার নিজেই কিন্তু সিবিআই রিপোর্টকে মান্যতা দিচ্ছেন। সেই ভিত্তিতে উনি কেন সেগ্রিগেশন মেনে নিচ্ছেন না।”
নতুন পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “এসএসসি ২০১৬-এর পুরো প্যানেল বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে জোর সওয়াল করা হয়েছে। ৯ বছর পরে আবার পরীক্ষা? যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে পৃথকীকরণ না হলে যোগ্যদের প্রতি অবিচার হবে। কোনভাবে তা মানা যায় না। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এবং তদন্তের ক্ষেত্রে যারা অসহযোগিতা করছে তাঁদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”