নিউজ ডেস্ক: আদালতে ধাক্কা খেলেন অঙ্কিতা অধিকারী। নিয়োগই ‘সন্দেহজনক’! TMC বিধায়কের মেয়ে অঙ্কিতার শিক্ষকতার চাকরি (SSC) ফেরত মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগ ‘সন্দেহজনক’ বলে মন্তব্য শীর্ষ আদালতের। তাঁর নিয়োগ খারিজ করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা। কিন্তু তাঁর মামলা খারিজ হয়ে গেল। বিচারপতি জানালেন, অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগ ‘সন্দেহজনক’।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়ে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন অঙ্কিতা। যদিও বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা করেন চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকার। ওই মামলায় ২০২২ সালের ১৭ মে অঙ্কিতার চাকরি বাতিল করেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে বেতনের টাকাও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর কন্যার চাকরি এবং বেতনের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা পান ববিতা। পরে দেখা যায় তাঁরও নম্বর মূল্যায়নে ভুল রয়েছে। পরে ববিতারও চাকরি চলে গেলে ওই চাকরি পান আরেক চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়। সেই চাকরি নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়।
চাকরি মামলায় প্রাক্তন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ২০২২ সালের ১৭ এবং ২০ মে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন অঙ্কিতা। গত বছর ২২ এপ্রিল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে হাই কোর্ট। তাতে চাকরি টেকেনি অনামিকার। অর্থাৎ, অঙ্কিতার চাকরি ববিতা এবং তার পরে সেই চাকরি অনামিকা পেয়েছিলেন। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে তাও বাতিল হয়ে যায়।
অঙ্কিতার আইনজীবী শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন, ‘‘আমার মক্কেলের চাকরি গিয়েছে। বেতনের ১৫ লক্ষ টাকা জমা করেছি। সেই চাকরি ববিতা সরকারকে দেওয়া হয়েছে। পরে তাঁর চাকরিও বাতিল হয়। তৃতীয় এক জনকে চাকরি এবং টাকা দিতে বলা হয়েছে। হাই কোর্টের রায় নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এই বিষয়টি বিবেচনা করা হোক।’’
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। এদিন তাঁর সেই আরজি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। তবে শুনানি পর্বে তাঁর নিয়োগকে সন্দেহজনক বলেও চিহ্নিত করেন বিচারপতি। ২০১৮ সালে পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari) তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে সেই বছর ২৪ নভেম্বর তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী স্কুলে শিক্ষকতার সুযোগ পান।