SSC: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা, মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

শুক্রবার সকালে মাথা মুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালেন শিক্ষকরা। ২০১৬ যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ নামে একটি মঞ্চ করে পথে নেমেছেন তাঁরা।

53741
শিক্ষকদের পেনশনে
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ফাইল চিত্র

SSC মামলা, সুপ্রিম কোর্ট: নিজেদের চাকরি বাঁচানোর দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলন করছেন যোগ্য শিক্ষকরা। ২০১৬ এসএলএসটি প্রার্থীদের বিক্ষোভের জেরে শুক্রবার দীর্ঘক্ষণ যানচলাচল নিয়ন্ত্রিত করা হয় সল্টলেক করুণাময়ী মোড় এবং নির্মাণ ভবন থেকে। 

শুক্রবার পাঁচ-ছ’শো চাকরি প্রার্থী হাজির হয়েছিলেন বিক্ষোভ দেখাতে। সল্টলেক যাওয়ার আগে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেলে চাকরি প্রার্থীদের কেউ কেউ মাথা মুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান। এরপর তাঁরা রওনা হন বিকাশভবনের উদ্দেশে। তাঁদের মিছিল ময়ূখ ভবন মোড়ের সামনে আটকে দেয় পুলিস। বিক্ষোভকারীরা সেখানেই বসে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করতে থাকেন তাঁরা। এর ফলে যানচলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে। 

শুক্রবার সকালে মাথা মুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালেন শিক্ষকরা। ২০১৬ যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ নামে একটি মঞ্চ করে পথে নেমেছেন তাঁরা। পরে সল্টলেকের বিকাশ ভবন অভিযান ‘যোগ্য” শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। আন্দোলনকারীদের দাবি, চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। অবিলম্বে যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করে তালিকা তৈরি করুক স্কুল সার্ভিস কমিশন। মাত্র ৮ শতাংশ অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদের চাকরি যেতে পারেনা।

পড়ুন:  এবার SSC-র চাকরিহারাদের নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জানালেন এই কথা

আন্দোলনকারী শিক্ষকদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সুদক্ষ আইনজীবী নিয়োগ করে ন্যায় পাইয়ে দেওয়ার রাস্তা করে দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্যানেল বাঁচানোর স্বার্থে কমিশনকে সমস্ত রকম তথ্য সুপ্রিম কোর্টে দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। বৈধ এবং অবৈধ বাছাই করতে হবে। 

শেষ পর্যন্ত ছ’জনের একটি প্রতিনিধি দল বিকাশ ভবনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়। দমদমে এরাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আন্দোলন করে চাকরি হয় না। চাকরি হয় যোগ্যতার ভিত্তিতে। তবে এই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। আদালত যেভাবে নির্দেশ দেবে আমরা সেভাবেই চলব। সরকার তো ন্যায্য চাকরিপ্রার্থীদের বাঁচাতে চাইছে। সুপ্রিম কোর্টে কেস চলছে। সামনেই শুনানি আছে। বারবারই বলছি, সরকারের ওপর আস্থা রাখুন। এভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আন্দোলন করতেই পারেন। আন্দোলন করার অধিকার প্রত্যেকের আছে। কিন্তু আন্দোলন করলেই তো আর চাকরি হয় না। চাকরিতে যিনি ন্যায্য, যোগ্য এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরাই পাবেন। ইতিমধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন পরই মামলাটা ওঠার কথা আছে, তাই এ নিয়ে আর কিছু বলব না।’