নিউজ ডেস্ক: ওএমআরে সমস্যা থাকায় যাদের ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এসএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন তাঁরা। তাঁদের প্রশ্ন, যেখানে আদালতে ওএমআরে কারচুপির বিষয়টি এখনও প্রমাণিত হয়নি, সেখানে এসএসসি কী করে তাঁদের ‘অযোগ্য’ বলে দাগিয়ে দিয়ে বেতন বন্ধ করে দিতে পারে?
এসএসসি ভবনের অদূরেই পৃথক অবস্থানে বসেন তাঁরা। এ হেন এক ‘অযোগ্য’ শিক্ষক কমলেশ কাপাট। কমলেশের কথায়, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের ৩ এপ্রিলের রায়ে ১২১২ জনকে অযোগ্য (টেন্টেড) বলা হয়েছিল। আমাদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। শুধু বলা হয়েছিল, ৪০৯১ জনের ওএমআরে গলদ রয়েছে। অথচ কিছু মানুষের চাপে ডিআই অফিসে যে সর্বশেষ তালিকা পাঠানো হল, তাতে আমাদের নাম বাদ দেওয়া হল।’’
রাজ্যের তরফে ‘অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত’ বা ‘দাগি’ নন, এমন ১৭ হাজার ২০৬ জন শিক্ষকের নামের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল। সেই তালিকা সুপ্রিম কোর্টেও জমা দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বুধবারই সেখান থেকে আরও ১৮০৩ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র-সহ একাধিক বিষয়ে সমস্যা রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পর্ষদ। তাঁদের নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকায় শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ১৫,৪০৩।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এই শিক্ষকেরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবেন এবং বেতন পাবেন। তাঁদের নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যোগ দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, চলতি বছরের মধ্যে শেষ করতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া।