SSC: ‘বৈঠকে কিছু হয়নি, ওটা একটা ললিপপ, সুপ্রিম কোর্টে করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি’

2936

নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের এক নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার জন চাকরিহারা হয়েছেন। চাকরি হারা হয়েছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এরই মধ্যে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে চাকরিহারাদের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়েছে। যদিও অনশনকারী চাকরিহারার দাবি, ‘বৈঠকে কিছু হয়নি, ওটা একটা ললিপপ।’

হকের চাকরি ফিরে পাওয়ার পথ খুঁজতে অংশনের পথকেই বেছে নিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশ। SSC দফতরের সামনে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৩ জন চাকরিহারা শিক্ষক। দাবি না মেটা পর্যন্ত অনশন চলবে বলেই তারা জানিয়েছেন। 

চাকরিহারা ও অনশনকারী সুমন বিশ্বাস বলেন, “যোগ্য যাঁরা আছেন, আমরা রায় পুনর্বিবেচনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। সকলে অংশগ্রহণ করুন। এই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা মামলা সুপ্রিম কোর্টে করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।” শিক্ষামন্ত্রী ও এসএসসি-র চেয়ারম্যানের সঙ্গে চাকরিহারাদের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বৈঠকে কিছু হয়নি। ওটা একটা ললিপপ।” 

অপর এক চাকরিহারা ও অনশনকারী প্রতাপকুমার সাহা বলেন, “১০ অক্টোবর ২০২২, দীপঙ্কর সাহা নামে গণিতের এক চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন। ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। প্যানেল আসতে পারেননি, এই মর্মে তিনি RTI করেন। ২৯ মার্চ ২০২৩-এ সেই আবেদনের ভিত্তিতে ফলাফল তাঁর হাতে দেওয়া হয়। তার সঙ্গে OMR কপি ছিল। এখন দিতে আপত্তি কোথায়?”

চাকরিহারা শিক্ষক মেহবুব মণ্ডল বলেন, “আমরা রাস্তায় নামছি। আমরা বাধ্য হয়ে নামছি।” 

পড়ুন:  গত ২৭ বছরের কর্মজীবনে আমি এমন মামলা দেখিনি! আরজিকর কাণ্ডে একি বললেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী

শনিবারের বিকেলে জগন্নাথ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের অ্যান্ড হসপিটালের অনুষ্ঠানের চাকরিহারাদের নিয়ে মন্তব্য করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “আমরা সুপ্রিম কোর্টকে সম্মান করি এবং তার উপর আস্থা রাখি। তবে রায় নিয়ে মত প্রকাশ বা সমালোচনা করার অধিকার আমাদের রয়েছে।অযোগ্যদের জন্য সবার চাকরি কেড়ে নেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে যোগ্যরা বঞ্চনার শিকার হল।”

পড়ুন:  SSC: শিক্ষিকা পদে যোগ দিলেই বেতন ৪২,৩৮৪ টাকা! কাউন্সেলিংয়ে যোগ দেবেন না দেবিকা ঘোষ, কি কারনে? জেনেনিন

অভিষেক আরও বলেন, “এই রায়ে ওরা (পড়ুন কেন্দ্রীয় সরকার) ৫৯ লক্ষ জব কার্ডধারীর মনরেগা প্রকল্পের অর্থ আটকে দিয়েছে। কিছু অসঙ্গতির কারণে ‘আবাস’ প্রকল্পের টাকাও ছাড়া হচ্ছে না। যারা প্রকৃতপক্ষে অনুপযুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু কয়েকজনের জন্য হাজার হাজার প্রাপ্য চাকরি কেড়ে নেওয়া যায় না। ১৭ লক্ষ আবাস প্রকল্পের উপভোক্তাকে ১০০ জনের শাস্তি দিয়ে দোষী বানানো যায় না। এটা ন্যায়সঙ্গত নয়।” 

পড়ুন:  আমরা খামতি দেখতে পাচ্ছি! যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করার দাবি নিয়ে SLST শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিক্ষোভ ঘিরে তুলকালাম

তাঁর কথায়, ‘‘যদি অযোগ্য কেউ চাকরি পেয়ে থাকে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক, তদন্ত হোক, তাকে শ্রীঘরে পাঠান, তার চাকরি যাক, তার থেকে টাকা ফেরত নিন। কিন্তু কিছু অযোগ্যের জন্য আপনি ১৬,০০০-১৭,০০০ যোগ্যের চাকরি কেড়ে নিতে পারেন না।’’