এসএসসি মামলা, সুপ্রিম কোর্ট: বেড়েই চলছে অপেক্ষা, বারেবারে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলা পিছিয়ে যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে SSC-এর প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা পেন্ডিং অবস্থায় আছে। এর আগে সময়ের অভাবে বারেবারে মামলাটি পিছিয়ে গেছে।
2016 এসএসসি মামলার ফের শুনানির তারিখ দেওয়া হল। এবার প্রথম 10 এর মধ্যে সিরিয়ালে থাকছে মামলাটি। দেশের শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি 12.12.24 তারিখে হতে চলেছে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ১২ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি হবে। ওই দিন এই বিষয়ে দায়ের হওয়া সব মামলার সঙ্গে যুক্ত সকল পক্ষের বক্তব্য শুনবে আদালত।
এসএসসি মামলার পাশাপাশি ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল মামলারও শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলা দুটিই চলছে। তবে শুনানি বারেবারে পিছিয়ে যাচ্ছে। বারবার এই ভাবে শুনানির তারিখ পরিবর্তন হওয়ায় হতাশ দুই পক্ষই। এসএসসি মামলাটির উপরেই নির্ভর করছে ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর ভবিষ্যৎ। এর আগে চাকরিহারাদের স্কুলে ফেরানোর রক্ষাকবচ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। CBI-এর তদন্তের অগ্রগতির উপর নির্ভর করছে মামলা।
OMR, হার্ডডিস্ক নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারবে CBI? কোন বিষয়ের উপর বিবেচনা করা হবে আগেই জানায় আদালত। এই মামলার দিকে তাকিয়ে ছিল চাকরিহারাদের পাশাপাশি বঞ্চিত প্রার্থীরাও। তবে বারেবারে মামলাটি পিছিয়ে যাওয়ায় আশাহত সবাই।
২০১৬ সালের ২২ এপ্রিল নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। যদিও পরে সুপ্রিম কোর্ট সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়।
এর আগে বেশ কয়েকবার এই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেছে। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও শুনানির তারিখ বারেবারে পিছিয়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২২ এপ্রিল নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।