সিবিআইও প্রমাণ করতে পারেনি আমরা অযোগ্য, ওএমআরে গলদ থাকলেই…! যা বলছেন অযোগ্য চাকরিহারারা

1931

নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর। যদিও যোগ্য শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ ওএমআরে গলদ থাকায় ‘যোগ্য’দের তালিকা থেকে আগেই বাদ গিয়েছে অযোগ্যদের নাম। গত বৃহস্পতিবার থেকেই তালিকায় নাম না-থাকা শিক্ষকেরা তা নিয়ে দফায় দফায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সোমবার সকালেও হাজরা মোড়ে নতুন করে আন্দোলন শুরু করলেন সেই ‘অযোগ্য’রা।

পড়ুন:  SSC-DA: ‘হাইভোল্টেজ’ মঙ্গলবার নিয়ে জোড়া চাপে রাজ্য সরকার, মিলবে কি 'সুপ্রিম' সুরাহা?

তাঁদের দাবি, তাঁরা ‘অযোগ্য’ নন, দুর্নীতির সঙ্গেও যুক্ত নন। তাই যোগ্যদের তালিকায় তাঁদেরও নাম রাখা হোক। চাকরিহারা শিক্ষিকা শতাব্দী সরকারের প্রশ্ন, ‘‘তদন্ত সংস্থা সিবিআইও প্রমাণ করতে পারেনি আমরা অযোগ্য। তা হলে স্কুল সার্ভিস কমিশন কিসের ভিত্তিতে আজ আমাদের রাস্তায় বসিয়ে দিল?’’

আর এক চাকরিহারা শিক্ষক সৌমেন সামন্ত বলেন, ‘‘যে কারণ দেখে আমাদের অযোগ্য বলা হচ্ছে, সেই ওএমআরে গলদের বিষয়টি এখনও প্রমাণিত হয়নি। সেই সংখ্যাটা ৫ হাজারেরও বেশি। তার আগেই আমাদের কী ভাবে অযোগ্য বলে দাগিয়ে দিচ্ছে সরকার? ‘যোগ্য’ তালিকায় কেন আমাদের নাম নেই?’’

পড়ুন:  ‘চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ো ধরা’ SSC কাণ্ডে পার্থ, সুবীরেশদের নিয়ে আদালতে বিস্ফোরক CBI

আন্দোলনকারীদের মধ্যে এক শিক্ষক বলেন, ‘আদালতে সিবিআই আমাদের অযোগ্য বলে প্রমাণ করতে পারেনি। তা হলে এসএসসি আমাদের অযোগ্য কেন বলছে? আমাদের এ ভাবে রাস্তায় কেন বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে?’

সোমবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে কালীঘাটে তাঁর বাড়ির দিকে মিছিল করে অগ্রসর হচ্ছিলেন তাঁরা। হাজরা মোড়ের কাছে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে রাস্তা থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়।

পড়ুন:  SSC নিয়ে আজকেই হেস্তনেস্ত! অন স্পট নোটিশ দিয়ে মেধাতালিকা প্রকাশ ও কাউন্সেলিংয়ের দিন ঘোষণা করতেই হবে, বিরাট আন্দোলনে হবু শিক্ষকরা

তাঁদের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের স্কুলে যেতে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। চাকরিহারারা চাইছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে। অথবা কোনও প্রতিনিধিকে পাঠাতে হবে। সরকারি হস্তক্ষেপে সমাধান নিয়েও আশাবাদী তাঁরা।