নিউজ ডেস্ক: আরজিকর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে জুনিয়র চিকিৎসকদের। যদিও সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর হতাশ, আগে সরকার আমাদের দাবি মানুক! মুখ খুললেন জুনিয়র ডাক্তার-রা। আগামিকাল বেলা বারোটায় করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকরা।
সোমবার রাতে জুনিয়র চিকিৎসকরা সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ”আজ সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর আমরা হতাশ। সিবিআই তদন্তে কোনও অগ্রগতি হয়নি। শুধুমাত্র জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যব্যবস্থার অংশ নয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ফলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা যদি ভেঙে পড়ে, তবে তা রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে যথেষ্ট সংখ্যায় সিনিয়র ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবের দিকে ইঙ্গিত করছে। পুলিশি গাফিলতির ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। স্বাস্থ্য দুর্নীতির বিষয়েও বাস্তবে কোনও পদক্ষেপ হয়নি। সন্দীপ ঘোষ, অভিক দে বা বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করা অনেকটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো হল।”
জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, ”আমরা রাজ্য সরকারের কাছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশান নেওয়ার দাবি জানাতে পারি। ডাক্তারদের জন্য আলাদা রেস্টরুম, শৌচালয় থাকতে হবে। প্রত্যেকটি রেস্টরুমের বাইরে নিরাপত্তা রক্ষী, সিসিটিভি থাকতে হবে। ওয়ার্ড এবং OT-র বাইরেও যথাযথ নিরাপত্তা-ব্যবস্থার কথা আমরা বলেছি। ২৩ জনের মৃত্যুর জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের ‘দায়ী’ করা হচ্ছে। কিন্তু প্রত্যেকদিন সঠিক ‘রেফারেল সিস্টেম’-এর অভাবে কতজন রোগীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়, তা সরকার জানে না।শুধু বড় বড় ভবন তৈরি করলে স্বাস্থ্যপরিষেবা তৈরি করা যায় না। জেলার মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে যদি সরকার এতই ভাবুক হয়, তাহলে কেন জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি হচ্ছে না?”
জুনিয়র চিকিৎসকরা আরও বলেন, ”আমাদের কাছে খবর আছে,আরজি কর হাসপাতালের উপরতলায় যে ঘর ভাঙ্গা হয়েছে, সেই নোটিশে সই করেছিলেন স্বাস্থ্য সচিব,স্বাস্থ্য অধিকর্তা।” আগামিকাল বেলা বারোটায় করুণাময়ী থেকে আমরা স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকরা। পুলিশ কমিশনারকে অব্যাহতি নিতে হবে। ডিসি সেন্ট্রাল-এর বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। গণতান্ত্রিকভাবে প্রত্যেকটি কলেজে নির্বাচন করাক সরকার।”