নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বাংলা সরকারকে একটি বড় ধাক্কায়, সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার নিয়োগ কেলেঙ্কারির জন্য স্কুলের চাকরির ক্ষেত্রে 2016 সালে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (WBSSC) দ্বারা 25,753 টি শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের নিয়োগ বাতিল করার কলকাতা হাইকোর্টের আদেশকে বহাল রেখেছে। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে যোগ্যদের জন্য আদালতে যাবেন বলে ঘোষণা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু বলেন, “প্রায় ১৯ হাজার যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরপাশে আছি আমরা। কথা দিচ্ছি, যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই করার যে কাজ এসএসসি এবং রাজ্য সরকার করেনি, মমতা চোরদের বাঁচানোর জন্য যা করল না, আমরা কথা দিচ্ছি, মানুষের আশীর্বাদে রাজ্যে ক্ষমতা পেলে ভবিষ্যতে আমরা সেই কাজ করব।”
শুভেন্দুর আরও বক্তব্য, “OMR, মার্কশিট হ্যাম্পার করেছিলেন। কিন্তু সিবিআই তৎপরতা দেখিয়ে তা পুনরুদ্ধার করেছে। পুড়িয়ে দেওয়া OMR নতুন করে বের করেছে ওরা। আমি হ্য়াটসঅফ জানাউ। অনেক সমালোচনার পরও কাজ করেছে। আর আজকের দিনে সবচেয়ে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাব অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যিনি চাকুরিজীবনের কয়েকটা মাস ছেড়ে দিয়ে, মোদিজির সৈনিক হিসেবে তৃণমূলের চ্য়ালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন। তৃণমূল বলেছিল, ‘ঠান্ডা ঘরে বসে অনেক কিছু হয়, আসুন ময়দানে দেখা হবে’। তিনি ময়দান বেছে নিয়েছিলেন তাম্রলিপ্তর মাটিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের সংগ্রামী মাটিকে। ধন্য যে আমরা তাঁকে জিতিয়েছি। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভোট দিয়ে আমি আঙুলে কালি লাগাতে পেরেছিলাম, আমি কৃতার্থ। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পদত্যাগ, তাঁর মন্ত্রিসভার গ্রেফতারিই সমাধান।”
একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “যোগ্য কর্মপ্রার্থীদের সঙ্গে যে বঞ্চনা হল তা নিয়ে চিন্তিত আমরা। যাঁরা করালেন, চাইলে যোগ্যদের বাঁচাতে পারতেন। আমি ৩০ ডিসেম্বর এসএসসি-তে যা বলেছি আপনাদের মোবাইলে আছে। আমার সঙ্গে বিধায়ক অরূপ দাস রয়েছেন, যিনি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। আমরা গিয়েছিলাম। ইচ্ছে করে করলেন না।”
শুভেন্দুর কথায়, “২০২৬ সালে বিজেপি আসবে। আমরা যোগ্যদের তালিকা বের করে, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিভিশন পিটিশন দায়ের করব কথা দিচ্ছি। সিবিআই বলেছে, মার্ক করে দিয়েছে কারা যোগ্য, কারা অযোগ্য। অযোগ্যের সংখ্যাটা ৬-৭ হাজারে মধ্যে রয়েছে। বাকি কিন্তু সব যোগ্য। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রাথমিক রায়ে, সিবিআই-এর রিপোর্টেও বলা হয়েছে। রাজ্য এবং SSC আলাদা করল না বলেই সবার উপর কোপ পড়ল। কারণ কাগজ ও তথ্য ছাড়া আইন হয় না। তাই বিচারপতি বাধ্য হয়েছেন।”