নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকের (অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক) অভাব, সমস্যা রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুধু পিএইচডি নয়, পড়াশোনার ক্ষেত্রেও নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। সুপারভাইজারের অভাবে ছ’বছর ধরে পিএইচডি করতে না–পারায় সম্প্রতি, আব্দুল মোস্তাক আলম নামে এক ছাত্র কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন। সমস্যায় পড়ছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও অনেকেই।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১৫৪ জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকার পদ থাকলেও বর্তমানে ৯১ জন শিক্ষক রয়েছেন। বিশেষ করে কলা বিভাগের মধ্যে বাংলা ও ইংরেজি এবং বিজ্ঞান বিভাগের মধ্যে ফিজ়িক্স, কেমিস্ট্রি, জুওলজি়, বোটানি ও সেরিকালচার বিভাগে সমস্যা বেশি। ভিজিটিং শিক্ষক ও গেস্ট লেকচারার দিয়েই কোনও রকমে বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন পাঠন চালানো হচ্ছে।
নিয়মানুযায়ী একজন প্রফেসর মোট ৮ জনকে, একজন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মোট ৬ জনকে এবং একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মোট ৪ জনকে সুপারভাইজ করতে পারেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি-র চাহিদা প্রবল হলেও পর্যাপ্ত অধ্যাপক-অধ্যাপিকার অভাবে তাতেও সমস্যা হচ্ছে।
সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার। তিনি বলেন, ‘ইউনিভার্সিটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষকের অভাব রয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে শূন্যপদ রয়েছে। লকডাউনের আগে শেষ অধ্যাপক-অধ্যাপিকা নিয়োগ হয়েছে, তারপর বিভিন্ন জটিলতার কারণে সম্ভব হয়নি। এতে করে বর্তমান অধ্যাপক অধ্যাপিকাদেরও চাপ বাড়ছে। ছাত্রছাত্রীদেরও অসুবিধা হচ্ছে।’