মিড-ডে-মিলে প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারিতে বরাদ্দতে এত পার্থক্য কেন? যা বলছে শিক্ষক সংগঠন

434

নিউজ ডেস্ক: মুদ্রাস্ফিতির হারের সাথে (Consumer Price Index) সঙ্গতি রেখে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক PM Poshan Scheme (মিড-ডে-মিল) প্রকল্পে ১০.৩৬ লাখ স্কুলে আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করল ৯.৫ %, যা সারা ভারতে ১০.৩৬ লাখ স্কুলে (প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত) কার্যকরী হবে আগামী ০১/০৫/২০২৫ তারিখ থেকে।

বাল ভাটিকা থেকে প্রাইমারি স্কুলের জন্য ৫৯ পয়সা বৃদ্ধি করে ৬.৭৮ টাকা হলো ও আপার প্রাইমারি স্কুলের জন্য ৮৯ পয়সা বৃদ্ধি করে ১০.১৭ টাকা বরাদ্দ জারি করলো পিএম পোষণ এর মন্ত্রালয়। আগে ছিল বাল ভাটিকা (প্রি-প্রাইমারি) ও প্রাইমারির জন্য ৬.১৯ টাকা ও আপার প্রাইমারির জন্য ৯.২৯ টাকা। 

রাজ্যের শিক্ষক সংগঠন “অল পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন” এর পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে, এই বৃদ্ধির স্তর অযৌক্তিক, একটা পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রের মিড ডে মিলের খরচ একই। সেখানে তাদের জন্য বরাদ্দের পার্থক্য প্রায় চার টাকা। কারণ দুই স্তরের ছাত্র ছাত্রীদের মিড ডে মিল সামগ্রীর খরচ একই, ১টাকা মতো কম হতে পারে প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের বরাদ্দ। দোকানে একটা ডিমের দাম, আলু, পিঁয়াজ সহ মিড ডে মিল সামগ্রী প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারি ছাত্রের জন্য কি পৃথক? 

পড়ুন:  নজিরবিহীন: শিক্ষককে সশ্রম ১১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হল, ঘটনা জানলে আপনি অবাক হবেন

এই পার্থক্য দূর করার দাবি জানাচ্ছে “অল পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন” এর সেক্রেটারী চন্দন গরাই মহাশয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও দাবি, স্কুলগুলিতে এমনিই শিক্ষক সমস্যায় নাজেহাল অবস্থা, তাই নতুন অর্থবর্ষ ২০২৫-২০২৫ থেকে মিড ডে মিল পরিচালনার জন্য ব্লকগুলি দায়িত্ব নিক, স্কুল প্রতি একজন করে ব্লকের নোডাল অফিসার নিযুক্ত করে ব্লকের দায়িত্বে মিড ডে মিল চলুক।

পড়ুন:  Big News: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় প্রবল ক্ষুব্ধ বিচারপতি, ৩ অফিসারকে জেলে ভরার হুঁশিয়ারি!

শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক মিড-ডে-মিল প্রকল্পে আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করল ৯.৫%, যা সারা ভারতে কার্যকরী হবে ১ মে ২০২৫ থেকে থেকে। এই বৃদ্ধিকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। পুষ্টিকর আহারের জন্য ব্যয় বরাদ্দ আরও বাড়ানো দরকার। এর পাশাপাশি আমরা মিড ডে মিল রাঁধুনীদের জন্য ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি।”