নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশের বেতন কাঠামো সংক্রান্ত জটিলতার অবসান হল। ২০১৩ সালের ৪ মার্চের আগে নিযুক্ত এক বছরের পিটিটিআই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ‘এ’ ক্যাটাগরি শিক্ষকদের বেতন কাঠামো সংক্রান্ত জটিলতা দূর হল।
এই সংক্রান্ত আগের অর্ডার অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষকদের দু’বছরের প্রশিক্ষণ যাঁর যখন শেষ হয়েছে, সেই অনুযায়ী তাঁকে তত দিন পর্যন্ত ‘বি’ ক্যাটাগরি হিসাবে বেতন দেওয়া হচ্ছিল। অতিরিক্ত বেতন (ওভার ড্রাফট) হিসেবে বহু শিক্ষককে মোটা অঙ্কের টাকা ফেরত দিতেও বলা হচ্ছিল। পাশাপাশি বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাসের কথাও বলা হচ্ছিল। এর বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষকরা আদালতের দ্বারস্থ হন। একাধিক মামলাতে শিক্ষকদের পক্ষে রায় দেয় আদলত।
সমস্যা সমাধানে অবশেষে অর্ডার বের করল স্কুল শিক্ষা দফতর। শিক্ষা দফতর ২০১৩ সালের অর্ডারকে সংশোধন করে তার আগে নিযুক্ত শিক্ষকদের বেতন কাঠামোয় স্থিতাবস্থা বজায় রাখল। এর সঙ্গে যে সমস্ত পেনশন প্রাপকরা এক বছরের ব্রিজ কোর্স করে দু’বছরের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেননি, তাঁদের ক্ষেত্রে নতুন করে বেতন কাঠামো পুনর্বিবেচনা করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নয়া বিজ্ঞপ্তিতে। ফলে প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশের বেতন কাঠামো সংক্রান্ত জটিলতার অবসান হল।
SSC: মাধ্যমিক পাশ যোগ্যতায় ৩৯৪৮১ শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল, জেনেনিন বিস্তারিত
এই বিষয়ে আমরা দ্য টিচার সোসাইটির রাজ্য আহ্বায়ক পৃথা বিশ্বাস বলেন, “একটি বড় অংশে প্রাথমিক শিক্ষক যাঁরা সেই সময় যোগ্য ছিলেন, তাঁদের পূর্বের অর্ডারের ফলে হেনস্থার স্বীকার হতে হয়েছিল। বিচার পাওয়ার জন্য বারবার আদালতের দরজায় কড়া নাড়তেও হয়েছিল। আদালত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের পক্ষেই রায় দিয়েছে। পুনরায় এই অর্ডার দিয়ে নিজের মুখ রক্ষা করল বিকাশ ভবন।”