নিউজ ডেস্ক: নয়া বছরে ডিএ-ফয়সালার আশায় রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আশা করছেন এবার হয়তো ডিএ ফয়সালার দিকে এগোতে পারে। শীতকালীন ছুটির পরে ৬ জানুয়ারি দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট খুলছে। ৭ জানুয়ারি বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার শুনানি হওয়ার কথা।
দীর্ঘদিন পর সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি হতে চলেছে। গত জুলাই মাসের পর থেকে আর সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ নিয়ে মামলার শুনানি হয়নি। নতুন বছরের গোড়াতেই আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
৭ জানুয়ারি বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চে ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত এক আইনজীবী বলেন, ১৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে শেষ শুনানির সময়েই বিচারপতি বলেছিলেন, ডিএ মামলার বিষয়ে বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। সেই কারণেই মামলা ছ’মাস পরে ২০২৫-এর ৭ জানুয়ারি নির্ধারিত করা হয়।
রাজ্য কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, “আদালতের রায় ছাড়া ডিএ নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত সম্ভব নয়। তাই আদালতের ওই শুনানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এত দিন তো শুনানির দিনই পাওয়া যাচ্ছিল না।” কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়ের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “এ বার অন্তত শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। গোটা কর্মচারী মহল সেই দিনটির অপেক্ষায় রয়েছেন। অনেকখানি ডিএ বকেয়া।”
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ-র হার ৫৩ শতাংশ। সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলির দাবি, কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে যে ফারাক, সেই প্রাপ্য আরও ৩৯ শতাংশ ডিএ অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে দিতে হবে।