নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার শীর্ষ আদালতে ছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কর্মজীবনের শেষ এজলাস। আর তিনি শুনবেন না গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেওয়া আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন সংক্রন্ত মামলাটি। সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ মামলা হিসাবে অতি সম্প্রতি আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন এবং তৎপরবর্তী ঘটনাবলি সংক্রান্ত মামলাটির শুবানি চলছে।
এই মামলাটি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হস্তক্ষেপ করেছিল চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। গত ১৮ অগস্ট মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে যায়, প্রথম শুনানি হয় ২০ অগস্ট। এরপর কয়েকটি শুনানি পিছিয়ে যায়। বৃহস্পতিবারও আরজি কর মামলা শুনেছেন প্রধান বিচারপতি। মামলাটি এই মুহূর্তে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
এই মামলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ রয়েছে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের। তিনি সিবিআইয়ের তদন্তের রিপোর্ট দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। উইকিপিডিয়া এবং সমাজমাধ্যম থেকে নির্যাতিতার নাম মুছে ফেলারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি।
আরজি করের ঘটনার পর রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁদের রাতের ডিউটি দেওয়া হবে না। যদিও এই বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করতে বলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছিলেন, মহিলাদের জন্য কেন এমন সীমারেখা টেনে দেওয়া হচ্ছে? পাশাপাশি, আরজি কর-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সিভিক হওয়ায় হাসপাতালের নিরাপত্তায় চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল তাঁর বেঞ্চ থেকে। আগামী ১০ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালতে আরজি কর মামলাটির পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা। তবে তখন আর প্রধান বিচারপতি পদে চন্দ্রচূড় থাকবেন না।