Home Blog

SSC: ৯০ দিনের ডেডলাইনে এখনও নোটিফিকেশনহীন! এসএসসি-২০১৬ ইন-সার্ভিসদের পূর্বের পোস্টে রিজয়েনিং বিষয়ে নোটিফিকেশন প্রকাশের জন্য ডেপুটেশন

এসএসসি SSC শিক্ষক

নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার জনের। হাইস্কুল স্তরের শিক্ষক সংগঠন “অল পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গত ০৩/০৪/২০২৫ তারিখে প্রকাশিত সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, SSC-2016 নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত সকল যোগ্য (Untainted) শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে যে সকল যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক- শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা পূর্বে অন্য দপ্তর বা একই দপ্তরের অন্য পোস্টে কর্মরত ছিলেন তাদেরকে পূর্বের পোস্টে অবিলম্বে নিয়োগ সম্পন্ন করার জন্য নোটিফিকেশন প্রকাশ সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আর্জি জানানো হল। 

SSC- 2016 নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী নিযুক্ত যে সকল যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক- শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে অন্য পোস্টে কর্মরতদের পূর্বের পোস্টে Rejoining সংক্রান্ত নোটিফিকেশন প্রকাশ সহ অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ২৯শে মে বৃহস্পতিবার হাইস্কুল শিক্ষক সংগঠন “অল পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন” এর পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রী, স্কুল শিক্ষা কমিশনার, শিক্ষা সচিব, বোর্ড সভাপতি ও এসএসসি চেয়ারম্যানকে দাবিপত্র দেওয়া হলো এবং বোর্ড ও বিকাশ ভবনে আধিকারিক দের সাথে আলোচনা করা হলো। 

বিকাশ ভবন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও এসএসসি অফিসে পূর্ববর্তী পোস্টে Continuation ও Pay – Protection সহ অতিসত্বর Re- Joining করার জন্য একটি নোটিফিকেশন অবিলম্বে সুস্পষ্ট ও যথাযথভাবে প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়েছে । সকল যোগ্য ( Untainted) শিক্ষক- শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী দের পূর্বের পোস্টের সাপেক্ষে নিজ বাসস্থানের কাছাকাছি স্থানের স্কুল বা সরকারি অফিসে নিয়োগ করতে হবে। যে সকল যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী পূর্বে স্কুল ও মাদ্রাসা স্তরে Primary/Graduate /IX-X/ Upper Primary / Hons/ PG/ GR-C /GR-D পোস্টে কর্মরত ছিলেন তাদেরকে পুনরায় সেই পোস্টে একই জেলায় বাড়ির কাছাকাছি Vacant পোস্টে নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যাঁরা SSC-2016 তে In-Service থাকায় অন্য চাকরিতে নির্বাচিত হয়েও যোগদান করেননি তাদেরকে পূর্বের চাকরিতে Join করার জন্য নোটিফিকেশন প্রকাশ করতে হবে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সকল যোগ্য শিক্ষক- শিক্ষিকারা গভীরভাবে হতাশ ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। বহু সংখ্যক দৃষ্টিহীন, প্রতিবন্ধী, অসুস্থ যোগ্য শিক্ষক- শিক্ষিকা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চাকরি করে এসএসসি -২০১৬ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বর্তমান পোস্টে নিযুক্ত হয়েছেন। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হাইস্কুলে SLST-2016 পরীক্ষার পূর্বে নিযুক্ত ৪২৬ জন শিক্ষক- শিক্ষিকাকে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী পুরনো পোস্টের চাকরিতে বহাল রাখার জন্য মানবিকভাবে বিবেচনা করে বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে পুন:নিয়োগ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গত ০৩/ ০৪/২০২৫ তারিখে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের রায়ের কপির ৪৭ নম্বর প্যারাতে ৩ মাসের মধ্যে পুরনো চাকরিতে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন। অর্থাৎ, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী Re-Joining এর জন্য ০৩/০৭/২০২৫ তারিখ ৯০দিনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। আরও উল্লেখ্য যে, ১৭/০৪/২০২৫ তারিখে প্রকাশিত WBBSE এর মাধ্যমে MA ফাইলের অর্ডার অনুযায়ী, In-Service আওতাভুক্ত শিক্ষক- শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। 

সকল যোগ্য (Untainted) শিক্ষক- শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের পূর্বের পোস্টের সাপেক্ষে নিজ বাসস্থানের কাছাকাছি স্থানের স্কুল বা সরকারি অফিসে নিয়োগ করার জন্য অবিলম্বে নোটিফিকেশন প্রকাশের জন্যই এই উদ্যোগ বলে জানান সংগঠন এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন গরাই মহাশয়। তিনি জানান আজ পূর্ববর্তী অনুমোদন সাপেক্ষে স্কুল শিক্ষা কমিশনার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত এডিশনাল ডিরেক্টর, ভারপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষা কমিশনার এর সাথে আলোচনা হয়, শিক্ষা দপ্তর সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনেই সময় মোতাবেক তাদেরকে নিয়োগ করবে।

এছাড়াও, যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক- শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরি সুনিশ্চিত করতে দাবি জানানো হয়েছে, সেগুলো হলো:

(১) সকল যোগ্য (Untainted ) শিক্ষক- শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের OMR সিটের সমস্ত মীরর ইমেজ কপি প্রকাশ করতে হবে।

(২) সকল অযোগ্য ও অবৈধ ( Tainted) শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের অবিলম্বে Termination Certificate প্রদান করতে হবে। 

(৩) এসএসসি ২০১৬ নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে যাতে কোনো রকম পুনঃপরীক্ষা গ্রহণ না করা হয় সেই বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে এবং OMR সিট এর প্রাপ্ত নম্বর, একাডেমিক নম্বর ও মৌখিকের প্রাপ্ত নম্বর সহ Repanel করে যোগ্যদের চাকরি চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

SSC: আদালত অবমাননা হতে পারে! এসএসসির নতুন নিয়োগ বিধি নিয়ে বিরাট মন্তব্য ফিরদৌস শামিমের

আইনজীবী ফিরদৌস শামিম

কলকাতা, ৩১ মে (২০২৫): চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের জন্য সুসংবাদ দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিচ্যুত শিক্ষক যারা আবার নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে চান, তাদের জন্য এসএসসি চালু করল বিশেষ স্কোরিং সুবিধা। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এসএসসির পরীক্ষায় বসলেই চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা পাবেন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অতিরিক্ত নম্বর। গতকাল, ৩০ মে রাতে প্রকাশিত নতুন পরীক্ষা বিধিতে এই নিয়মসহ একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়েছে।

২০১৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) বিতর্কিত এবং পরবর্তীকালে বাতিল হওয়া শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর রাজ্য সরকার যখন নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি (SLST 2025) প্রকাশ করেছে, ঠিক তখনই এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়মাবলী, বিশেষত ২০১৬ সালের বাতিল প্যানেলের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এর প্রযোজ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিশিষ্ট আইনজীবী ফিরদৌস সামিম। 

এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি এই নতুন নিয়মকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন এবং ২০১৬-র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে পুরোনো নিয়মেই পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন। ফিরদৌস শামিম বলেন, “২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে যদি কোনও পুনর্মূল্যায়ন বা নতুন করে প্যানেল তৈরির সুযোগ দেওয়া হয়, তবে তা অবশ্যই ২০১৬ সালের তৎকালীন নিয়ম অনুসারেই হওয়া উচিত।” তিনি স্পষ্টভাবে জানান যে, নতুন নিয়ম (২০২৫) বাতিল হওয়া ২০১৬-র প্রক্রিয়ার উপর চাপিয়ে দেওয়া কেবল আইনবিরুদ্ধই নয়, এটি আদালতের নির্দেশেরও পরিপন্থী হতে পারে এবং ফলস্বরূপ আদালত অবমাননার সামিল হতে পারে। তাঁর যুক্তি, “সাধারণত কোনও আইন বা নিয়ম ভবিষ্যতের জন্য প্রযোজ্য হয় (prospective effect), অতীতের কোনও ঘটনার উপর তার প্রভাব পড়ে না (retrospective effect)।”

ফিরদৌস শামিমের নজরে নতুন নিয়মের ‘ত্রুটি’:

আইনজীবী শামিম পুরোনো (২০১৬) ও নতুন (২০২৫) নিয়োগ বিধির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে বেশ কয়েকটি উদ্বেগজনক দিক তুলে ধরেছেন:

অ্যাকাডেমিক যোগ্যতার গুরুত্ব হ্রাস:

পুরোনো নিয়ম (নবম-দশম): অ্যাকাডেমিক ও পেশাগত যোগ্যতায় ৩৫ নম্বর।

নতুন নিয়ম (২০২৫): অ্যাকাডেমিক যোগ্যতায় মাত্র ১০ নম্বর।

ফিরদৌস সামিমের মতে, এটি অত্যন্ত মেধাবী কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় সামান্য পিছিয়ে পড়া প্রার্থীদের প্রতি অবিচার। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ফলাফলকে কার্যত গুরুত্বহীন করে দেওয়া হচ্ছে।

অভিজ্ঞতার জন্য নতুন করে নম্বর সংযোজন:

নতুন নিয়ম (২০২৫): পূর্ব অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর।

এটি ২০১৬ সালের নিয়মে ছিল না। এর ফলে সদ্য পাশ করা বা অভিজ্ঞতাহীন প্রার্থীরা সরাসরি প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বেন। সামিম প্রশ্ন তুলেছেন, যে প্রার্থীরা দুর্নীতির কারণে এতদিন বঞ্চিত ছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতার নম্বর কীভাবে প্রযোজ্য হবে?

ইন্টারভিউ ও ডেমোনস্ট্রেশনের নম্বর বিভাজন ও বৃদ্ধি:

পুরোনো নিয়ম (নবম-দশম): ইন্টারভিউতে ১০ নম্বর।নতুন নিয়ম (২০২৫): মৌখিক ইন্টারভিউ ও লেকচার ডেমোনস্ট্রেশনে ২০ নম্বর।

সামিমের মতে, এই ২০ নম্বর ইন্টারভিউয়ারদের হাতে অবাধ স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা (arbitrary power) তুলে দেবে, যা অস্বচ্ছতার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।

লিখিত পরীক্ষার গুরুত্ব বৃদ্ধি ও ইন্টারভিউ তালিকার ভিত্তি পরিবর্তন:

পুরোনো নিয়ম (নবম-দশম): লিখিত পরীক্ষা ৫৫, ৯০ নম্বরের ভিত্তিতে ইন্টারভিউ তালিকা।

নতুন নিয়ম (২০২৫): লিখিত পরীক্ষা ৬০, ৭০ নম্বরের (লিখিত + অ্যাকাডেমিক) ভিত্তিতে ইন্টারভিউ তালিকা।

এটি লিখিত পরীক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দিলেও, সামগ্রিক মূল্যায়নে অ্যাকাডেমিক যোগ্যতাকে কোণঠাসা করছে।

ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রার্থী ডাকার অনুপাতে বদল:

আগে যেখানে শূন্যপদের অনুপাতে ১:১.৪ হারে প্রার্থী ডাকা হতো, এখন তা বাড়িয়ে ১:১.৬ করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর ফলে, লিখিত পরীক্ষায় সামান্য ভালো নম্বর পেলেই অনেকে ইন্টারভিউর জন্য বিবেচিত হতে পারেন, যা সামগ্রিক মেধার বিচারে অন্তরায় হতে পারে।

এসএসসি নিয়োগে বড় খবর: শিক্ষকরা পরীক্ষায় বসলেই পাবেন অতিরিক্ত নম্বর, জেনেনিন বিস্তারিত

SSC এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ

কলকাতা, ৩১ মে ২০২৫: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। গতকাল, ৩০ মে প্রকাশিত নতুন নিয়োগ বিধিতে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের জন্য বিশেষ সুবিধার ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এসএসসির পরীক্ষায় বসলেই অতিরিক্ত ১০ নম্বর পাবেন চাকরিচ্যুত শিক্ষক সহ অন্যান্য মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা। এছাড়াও শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেও বাড়ছে নম্বরের পরিমাণ।

কীভাবে মিলবে অতিরিক্ত ১০ নম্বর?

* নতুন বিধি অনুসারে, যেকোনও সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষকরা এই বিশেষ ১০ নম্বরের সুবিধা পাবেন।

* শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং ক্লাস নেওয়ার দক্ষতা মূল্যায়নে এই অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হবে।

* প্রতি বছরের অভিজ্ঞতা হিসাবে ২ নম্বর করে দেওয়া হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নম্বর বণ্টন (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তর):

1. শিক্ষাগত যোগ্যতা (সর্বোচ্চ ১০ নম্বর):

 * নবম-দশম শ্রেণির জন্য: স্নাতক ডিগ্রির নম্বর (স্নাতকোত্তরের প্রয়োজন নেই)।

 * একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য: স্নাতকোত্তর ডিগ্রির নম্বর।

 নম্বর: ৬০% এর বেশি = ১০, ৫০%-৬০% = ৮, ৫০% এর কম = ৬।

2. শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা (সর্বোচ্চ ১০ নম্বর):

* নবম-দশম বা একাদশ-দ্বাদশ স্তরে শিক্ষকতা: প্রতি বছরের জন্য ২ নম্বর (সর্বোচ্চ ১০)।

* উচ্চ প্রাথমিক স্তরে (৬ষ্ঠ-৮ম) শিক্ষকতা: প্রতি বছরের জন্য ১ নম্বর (সর্বোচ্চ ৫)।

3. লিখিত পরীক্ষা: ৬০ নম্বর (পূর্বে ছিল ৫৫)।

4. ইন্টারভিউ: ১০ নম্বর।

5. ডেমো ক্লাস/ক্লাস নেওয়ার দক্ষতা: ১০ নম্বর (নতুন সংযোজন)।

উচ্চ প্রাথমিক স্তরে (৬ষ্ঠ-৮ম) মূল্যায়ন পদ্ধতি:

* টেট প্রাপ্ত নম্বর: সর্বোচ্চ ৪০ নম্বর (বাধ্যতামূলক)।

* বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা: ২৫ নম্বর।

* ইন্টারভিউ: ১৫ নম্বর।

* ডেমো ক্লাস/ক্লাস নেওয়ার দক্ষতা: ১৫ নম্বর।

* শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: সর্বোচ্চ ৫ নম্বর।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা:

* বয়সসীমা: ১ জানুয়ারি ২০২৫-এর হিসাবে সর্বোচ্চ ৪০ বছর। তফসিলি জাতি/জনজাতি/অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রার্থীরা রাজ্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বয়সের ছাড় পাবেন।

* মেধাতালিকার মেয়াদ: প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পর ১ বছর। সরকারি অনুমতি সাপেক্ষে আরও ৬ মাস বাড়ানো যেতে পারে।

* ওএমআর শিট সংরক্ষণ: প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২ বছর মূল শিট সংরক্ষণ। স্ক্যান কপি ১০ বছর রাখতে হবে।

বিশ্লেষণ:

এই নতুন বিধি চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের পুনর্বাসন এবং তাঁদের পূর্ব অভিজ্ঞতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। “লিখিত পরীক্ষার” ওয়েটের পাশাপাশি “শিক্ষাগত যোগ্যতা”, “অভিজ্ঞতা” এবং বাস্তব শিক্ষণ দক্ষতা (“ডেমো ক্লাস”) মূল্যায়নে জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বরের ব্যবস্থা এই প্রার্থীদের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, উচ্চ প্রাথমিক স্তরে টেটের গুরুত্ব অনেকটাই রয়ে গেছে।

এসএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি ও গেজেট Notification প্রার্থীদের ভালোভাবে পড়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এসএসসি নিয়োগে ২০ নম্বরের ‘দুর্নীতির ফাঁক’? রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এবং বিকাশ ভবনে ডেপুটেশন

এসএসসি SSC শিক্ষক

নিউজ ডেস্ক: সদ্যই স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকারের তরফে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হল। শুক্রবার, ৩০ মে শূন্যপদ পূরণের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কিন্তু যাঁরা একবার পরীক্ষা দিয়ে ‘যোগ্যতা’ প্রমাণের পর চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা নতুন করে পরীক্ষায় বসতে নারাজ। বরং তাঁদের দাবি, সসম্মানে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হোক ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের।

এই বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “এসএসসি-র নতুন নিয়োগ পদ্ধতি দেখে মনে হল কেস করার সমস্ত সুযোগ রেখে সরকার আর কোনদিন নিয়োগ করবে না। ইন্টারভিউতে ১০ এবং লেকচার ডেমনস্ট্রেশনে ১০ নম্বর বরাদ্দ রেখে দুর্নীতির বড় জায়গা রেডি রাখা হলো। এই প্রক্রিয়ায় যোগ্য শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের চাকরি ফিরে পাওয়ার আশা একেবারেই ক্ষীণ। আমরা এর সম্পূর্ণ প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আজ আমরা রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এবং বিকাশ ভবনে ডেপুটেশন দিলাম।”

শুক্রবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির পর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, পরীক্ষার জন্য ফর্ম ফিলআপ কি করবেন? বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে মোটের উপর তা স্পষ্ট করে দিলেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। জানালেন, এখনও তাড়াহুড়ো করে ফর্ম ফিলআপ নয়, রাজ্য সরকারের দায়ের করা রিভিউ পিটিশনের শুনানি আগে হোক। তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।

স্কুল শিক্ষা দফতরের নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়ম ঘিরে ফের বিতর্ক। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন(এসএসসি)। এর পাশাপাশি এবারের পরীক্ষার নিয়োগ বিধিও জানানো হয়েছে। আর তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। 

আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলছেন, ২০১৬ সালে যে নিয়মে পরীক্ষা হয়েছিল, তার বদল হলেই এবার পরীক্ষাও বাতিল হবে। স্কুল শিক্ষা দফতরের নতুন নিয়োগ বিধি নিয়ে বিকাশরঞ্জন বলেন, “যাই করুন না কেন, ২০১৪ এবং ২০১৬ সালের যে নিয়ম ছিল, সেই নিয়ম মেনেই পরীক্ষা নিতে হবে। তার বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা এই রাজ্য সরকারের নেই। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিতে তারা বাধ্য। অন্য কিছু করলেই আবার বিপদে পড়বে।” 

এরপরই তিনি বলেন, “২০১৬ সালের নিয়মের বাইরে গেলেই তা বাতিল হয়ে যাবে। ২০১৬ সালে যে নিরিখে পরীক্ষা হয়েছিল, সেই নিরিখেই পরীক্ষা হতে হবে। দুর্নীতির জন্য ২০১৬-র সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়েছে। সেই চাকরির সুবিধা কেউ পেতে পারে না, এটা বোঝা উচিত।” ওএমআর সংরক্ষণের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে অবশ্য স্বাগত জানান তিনি।

SSC: ২০১৬-র নিয়মের বাইরে গেলেই বাতিল হয়ে যাবে; নয়া বিজ্ঞপ্তির ভুল ধরিয়ে বড় মন্তব্য বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের

বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য

নিউজ ডেস্ক: সদ্যই স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। এবার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন সিনিয়র আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ২০১৬-র নিয়মের বাইরে গেলেই বাতিল হয়ে যাবে; নয়া বিজ্ঞপ্তির ভুল ধরিয়ে কমিশনকে সতর্ক করলেন বিকাশরঞ্জন।

স্কুল শিক্ষা দফতরের নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়ম ঘিরে ফের বিতর্ক। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন(এসএসসি)। এর পাশাপাশি এবারের পরীক্ষার নিয়োগ বিধিও জানানো হয়েছে। আর তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। 

আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলছেন, ২০১৬ সালে যে নিয়মে পরীক্ষা হয়েছিল, তার বদল হলেই এবার পরীক্ষাও বাতিল হবে। স্কুল শিক্ষা দফতরের নতুন নিয়োগ বিধি নিয়ে বিকাশরঞ্জন বলেন, “যাই করুন না কেন, ২০১৪ এবং ২০১৬ সালের যে নিয়ম ছিল, সেই নিয়ম মেনেই পরীক্ষা নিতে হবে। তার বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা এই রাজ্য সরকারের নেই। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিতে তারা বাধ্য। অন্য কিছু করলেই আবার বিপদে পড়বে।” 

এরপরই তিনি বলেন, “২০১৬ সালের নিয়মের বাইরে গেলেই তা বাতিল হয়ে যাবে। ২০১৬ সালে যে নিরিখে পরীক্ষা হয়েছিল, সেই নিরিখেই পরীক্ষা হতে হবে। দুর্নীতির জন্য ২০১৬-র সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়েছে। সেই চাকরির সুবিধা কেউ পেতে পারে না, এটা বোঝা উচিত।” ওএমআর সংরক্ষণের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে অবশ্য স্বাগত জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে SSCর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি।

২০১৬ সালের বাতিল প্যানেলের শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে SSC. আর তাতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাবিধিতে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। ২০১৬ সালে লিখিত পরীক্ষা হয়েছিল ৫৫ নম্বরের। সেখানে এবার লিখিত পরীক্ষার পূর্ণমান বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০। আগের প্রক্রিয়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য বরাদ্দ ছিল ৩৫ নম্বর। এবার তা কমিয়ে করা হয়েছে ১০। আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পার্সোন্যালিটি টেস্টের জন্য বরাদ্দ ছিল ১০। সেখানে এবার ইন্টারভিউর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০, পড়ানোর দক্ষতার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০ ও অভিজ্ঞতার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০ নম্বর। আর এখানেই দুর্নীতির সম্ভাবনা দেখছেন বিরোধীরা।

SSC: ‘কোনো লাভ হবে না, চাকরি ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই’ রিভিউ পিটিশন নিয়ে একি বললেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য

বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য

SSC: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মান্য করে শনিবার বিকাশ ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ সরিয়ে নিলেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। তবে চাকরি ফিরে পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। আইনজীবী ও সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এরইমধ্যে চাকরিহারাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “চাকরি ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। নতুন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।”  

বিকাশবাবু বলেন, ”আপনারা কেউ চাকরি ফিরে পাবেন না। আপনাদের নতুন করে পরীক্ষায় বসতে হবে, তার জন্য তৈরি হন। সরকার চাকরিহারাদের ভুল বোঝাচ্ছে। রিভিউ পিটিশন করেও কোনও লাভ হবে না।”

শনিবার সকালে চাকরিহারাদের একটি প্রতিনিধিদল বিকাশ ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। সিপিএম নেতা তাদের উদ্দেশে বলেন, “রিভিউ পিটিশন করেও কোনো লাভ হবে না। সরকার আপনাদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। অযোগ্যদের তালিকায় ৭,২৫০ জনের বদলে আরও অনেক বেশি নাম রয়েছে।” তাঁর এই মন্তব্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন চাকরিহারা একাংশ।  

অন্যদিকে, চাকরিহারা শিক্ষকরা সাংবাদিকদের জানান, সংসদে এই ইস্যু তোলার জন্য সকল সাংসদদের কাছে চিঠি দেওয়া হবে। সোমবারের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টতা না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার দাবি জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারান এই শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। গত কয়েক মাস ধরে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিলেন তাঁরা।

শীর্ষ আদালতের রায়ে চাকরিচ্যুত ২৬ হাজার, নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়ায় জোরেশোরে স্কুল সার্ভিস কমিশন

এসএসসি SSC শিক্ষক

কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিণতিতে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। ২০১৬ সালের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বাতিল হয়েছিল সেই প্যানেল। এরপর দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এবার নতুন করে চলতি বছরের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) ইতিমধ্যেই পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছে, চলতি মাসেই বিজ্ঞপ্তি জারির সম্ভাবনা রয়েছে।  

কী বদল হতে পারে নিয়োগে?

শিক্ষাদপ্তর সূত্রে খবর, এবার পরীক্ষার পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনা হতে পারে। পুরনো নিয়মে ওএমআর শিটের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের কার্বন পেপার দেওয়া হবে, যার প্রতিলিপি তাঁরা ফেরত পাবেন। সুবিধার জন্য ওএমআর শিট সংরক্ষণের সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া, নিয়োগ প্যানেলের মেয়াদ এক বছর থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করা হতে পারে। ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রেও নতুন নিয়ম চালু হতে পারে, যাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।  

প্রতিবাদে চাকরিহারাদের বিক্ষোভ  

শীর্ষ আদালতের রায়ে চাকরি হারানো কর্মীদের একটি বড় অংশ নতুন করে পরীক্ষা দিতে অনিচ্ছুক। ইতিমধ্যেই বিকাশ ভবনের সামনে তাঁদের টানা অবস্থান ও বিক্ষোভ চলছে। যদিও শিক্ষাদপ্তরের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার কোনও উপায় নেই। ফলে, এসএসসি-কে বাধ্য হয়েই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাতে হবে।  

কে পাবেন সুযোগ? 

২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলের পর গত ৭ বছর ধরে এই নিয়ে আইনি ও রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছিল। শীর্ষ আদালতের সাম্প্রতিক রায়ে শিক্ষকরা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্বে থাকতে পারবেন ও বেতন পাবেন। তবে অশিক্ষক কর্মীরা এখনই চাকরি হারিয়েছেন। নতুন নিয়োগে কতজন পূর্ববর্তী আবেদনকারী অংশ নেবেন, তা এখনই স্পষ্ট নয়। শিক্ষাদপ্তর ও এসএসসি সূত্রে জানানো হয়েছে, “সমস্ত প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে।”  

পটভূমি  

২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তদন্তে অনিয়ম প্রমাণিত হলে গোটা প্যানেল বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর থেকেই চাকরিচ্যুত কর্মীদের পুনর্বহালের দাবিতে চলেছে আন্দোলন। তবে আদালতের কঠোর রায়ের পর এবার নতুন করে নিয়োগ ছাড়া কোনও পথ খোলা নেই বলে জানিয়েছে রাজ্য।  

BIG NEWS: SSC অযোগ্য চাকরিহারাদের আবেদন খারিজ, এসএসসি নিয়ে বড় খবর সামনে এল

সুপ্রিম কোর্ট শিক্ষক ২৬ হাজার চাকরি বাতিল

নিউজ ডেস্ক: এসএসসি ২০১৬ পরীক্ষায় ওএমআর শীটে তথ্য অসামঞ্জস্যের অভিযোগে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আজ শুক্রবার আদালত জানায়, এই মামলা নিষ্পত্তির কোনো আইনি ভিত্তি নেই। প্রার্থীরা দাবি করেছিলেন, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত তাদের স্কুল চালু রাখা হোক এবং নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক। তবে আদালতের রায়ে তাদের যুক্তি প্রত্যাখ্যান করা হয়।  একাদশ -দ্বাদশের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ। OMR কারচুপিতে অভিযুক্তদের তরফে আবেদন খারিজ।

আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন, ”ব্ল্যাঙ্ক ওএমআর-এ চাকরি নয়। ওএমআরে কিছু বাড়ানোর অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে। আমরা অবৈধ নই। র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি নয় আমাদের। প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নয় আমাদের। তাই আমাদের আবেদন এপ্রিল মাস থেকে আমাদের বেতন দেওয়া হোক এবং স্কুলে যেতে দেওয়া হোক।” কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।

আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন, ”আমরা স্কুলে যাচ্ছি। আমাদের বেতন দেওয়া হোক।” কিন্তু রূপক চন্দ সহ ১১৯ জনের আবেদন খারিজ করে শীর্ষ আদালত। শুধু সাদা খাতাই নয় অর্থাৎ শুধু ব্লাঙ্ক OMR নয়, সিবিআই তদন্তে উঠে আসা OMR বিকৃত করে নম্বর বাড়িয়ে চাকরিপ্রাপকদের বেতন বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ এদেরও অযোগ্য তালিকায় রাখল সুপ্রিম কোর্ট। যার অর্থ পরীক্ষায় বসতে পারার সম্ভাবনা এদেরও কমল।

পটভূমি  

২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে ওএমআর শীটে তথ্য গোলযোগের অভিযোগ ওঠে। এর সঙ্গে আরও বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। আদালত গোটা প্যানেল বাতিল করে। যোগ্যদের নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষায় বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে অযোগ্যদের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। তাদের মূল দাবি ছিল, ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং নতুন নিয়োগে অংশ নেওয়ার অধিকার দেওয়া হোক। এছাড়া, বেতন-ভাতা ও চাকরির সুবিধা ফিরে পেতেও তারা মামলা করেন।  

আদালতের যুক্তি  

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রায়ে উল্লেখ করে, প্রার্থীদের আবেদন আইনগতভাবে “অগ্রহণযোগ্য” এবং “অনুপযুক্ত”। আদলত তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। 

SSC 2016 এর OMR Mismatch শিক্ষকদের করা এম এ ফাইল সুপ্রিম কোর্ট আজ খারিজ করে দিল। অযোগ্য চাকরিহারাদের আবেদন খারিজ করে দিলসুপ্রিম কোর্ট। নতুন নিয়োগ ও বেতন দেওয়ার জন্য মামলা করেছিল তারা। বলেছিল তারা অযোগ্য নয়। এই মামলা খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এই আবেদনে সাড়া দেওয়ার কোনও মানে নেই। 

SSC: এসএসএসি চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলনে নিয়ে এবার বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

এসএসসি কলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতা, ২৩ মে ২০২৫: এসএসএসি চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিকাশ ভবনের সামনে চলমান আন্দোলনে বড় ধাক্কা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশে এখন থেকে সেন্ট্রাল পার্কে (বিকাশ ভবনের বিপরীতে) শর্তসাপেক্ষে অবস্থান করতে পারবেন বিক্ষোভকারীরা। আদালতের সম্মতি অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ২০০ জন ১২ ঘণ্টা অন্তর পালাবদলে (রোটেশনাল বেসিস) শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালাতে পারবেন।

চাকরিহারাদের উদ্দেশে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‌আপনারা ওখানে ১৫–১৬ দিন আন্দোলন করছেন। আপনাদের প্রতি আমি সমব্যথী। কিন্তু আমাকে তো সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে। আপনারা উল্টোদিকে সেন্ট্রাল পার্কে অবস্থান করুন। আপনাদের প্রতি সবাই সমব্যথী। আইন শৃঙ্খলার অবনতি যেন না হয় সেটা খেয়াল রাখুন। এমন ব্যবহার করুন যাতে শিক্ষকদের সম্মান থাকে।’‌

কলকাতা হাইকোর্টের শর্তাবলি: 

১. প্রতিনিধি তালিকা: আন্দোলনকারীদের ১০ জন প্রতিনিধির নাম পুলিশকে জানাতে হবে। এই তালিকা আজই জমা দিতে হবে।  

২. সুবিধা ব্যবস্থাপনা: অবস্থান স্থলে ছাউনি, পর্যাপ্ত পানীয় জল ও বায়ো টয়লেটের বন্দোবস্ত করতে হবে।

৩. নিরাপত্তা: পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের মতো কঠোর পদক্ষেপ এড়িয়ে চলবে। শিক্ষা পর্ষদও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করবে না।  

৪. শান্তি বজায়: ২০০ জনের বেশি জমায়েত বা অশান্তির ঘটনায় পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে, তবে প্রতিনিধিদের আগে জানাতে হবে।  

আদালতের মন্তব্য 

বিচারপতি ঘোষ বলেন, “আপনারা নথিভুক্ত সংগঠন নন, পরিস্থিতির চাপে আন্দোলন করছেন। তাই বিকাশ ভবনের পরিবর্তে সেন্ট্রাল পার্কে শর্ত মেনে বিক্ষোভ করুন।” তিনি আরও সতর্ক করেন, “বিক্ষোভস্থলের বাইরে কেউ গণ্ডগোল করলে পুলিশ স্বাধীনভাবে ব্যবস্থা নেবে।”

পটভূমি

এসএসসি শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে গত কয়েক মাস ধরে চলছে এই আন্দোলন। শিক্ষকরা দাবি করেন, যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আদালতের এই নির্দেশের পর এখন আন্দোলনের গতিপথ কতটা বদলায়, তা নিয়ে কৌতূহল।  

পরবর্তী পদক্ষেপ  

রাজ্য সরকার ও আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে শপথপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী শুনানিতে আদালত বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন।  

ব্রাত্য বসুর বক্তব্য: ‘মোদ্দাকথা কেউ পরীক্ষা দিতে চায় না, চাকরি ফেরত চাইছে’ — এসএসসি কেলেঙ্কারি ও আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রসঙ্গে

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সম্প্রতি টিটাগড়ে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় এসএসসি কেলেঙ্কারি এবং চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। তাঁর বক্তব্যের মূল সুর হলো, আন্দোলনরত শিক্ষকরা পরীক্ষা দেওয়ার পরিবর্তে সরাসরি চাকরি ফেরত চাইছেন, যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী ।  

ব্রাত্য বসুর মূল বক্তব্য:

১. পরীক্ষা এড়ানোর অভিযোগ: ব্রাত্য বসু দাবি করেন, চাকরিহারা শিক্ষকদের একটি বড় অংশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিত পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার পরিবর্তে “সসম্মানে চাকরি ফেরত” চাইছেন। তিনি বলেন, “পরীক্ষা দেওয়াটা সুপ্রিম কোর্টের আদেশ। আমরা কীভাবে তা উপেক্ষা করব?” 

২. দাবিপত্রের অভাব: শিক্ষামন্ত্রীর মতে, আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে কোনো লিখিত দাবিপত্র জমা পড়েনি। তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের সাত দফা দাবির কথা শুনলেও সরকারি স্তরে তা আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি বলে জানান ।  

৩. সরকারের অবস্থান: ব্রাত্য বসু জানান, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছে এবং চাকরি ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কাজ করছে। তবে, তিনি স্পষ্ট করেন, “যোগ্য-অযোগ্য বাছাইয়ের দায়িত্ব আমার নয়।”  

প্রেক্ষাপট: এসএসসি কেলেঙ্কারি ও ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ

২০১৬ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তীব্র হয়। আদালতের রায়ে ২৫,০০০ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের পর থেকে চলমান আন্দোলনের মূল কারণ হলো এই কেলেঙ্কারি ।  

– ইতিহাসের তুলনা: বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস আমলের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অতীতে রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা দিয়ে চাকরি পাওয়া গেলেও বর্তমান কেলেঙ্কারির মাত্রা ভিন্ন। এখন “চাকরি বিক্রির বাজার” তৈরি হয়েছিল, যা পূর্ববর্তী শাসনামলে দেখা যায়নি ।  

– পরীক্ষা ব্যবস্থার ক্রমবিবর্তন: ১৯৯৭ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন চালুর উদ্দেশ্য ছিল নিয়োগে স্বচ্ছতা আনা। কিন্তু ২০১৩-১৪ সাল থেকে এই ব্যবস্থায় অনিয়মের অভিযোগ বাড়তে থাকে, যা শেষ পর্যন্ত গণবিক্ষোভের রূপ নেয় ।  

আন্দোলনকারীদের অবস্থান ও সরকারের প্রতিক্রিয়া: 

আন্দোলনরত শিক্ষকদের একটি অংশ দাবি করেন, তারা দুর্নীতির শিকার এবং ন্যায়বিচার চান। অন্যদিকে, ব্রাত্য বসু এর বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেন, “এসএসসি বা বিকাশ ভবন অবরোধ করা সমাধান নয়। সরকারি আধিকারিকদের কাজ করতে দিন” । তিনি আরও যোগ করেন, ৩,০০০ শিক্ষক ইতিমধ্যেই সরকারের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।  

বিচারিক প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ:  

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার রিভিউ পিটিশন জমা দিলেও, ব্রাত্য বসু স্পষ্ট করেন যে আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করলে শুধু সরকারই নয়, আন্দোলনকারীরাও “কনটেম্পট অফ কোর্ট”-এর মুখোমুখি হবেন ।  

সমাজের প্রতিক্রিয়া ও রাজনৈতিক প্রভাব:  

এই সংকট শুধু চাকরিহারা শিক্ষকদেরই নয়, পুরো শিক্ষাব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ব্রাত্য বসুর বক্তব্যে যদিও অতীতের তুলনা টানা হয়েছে, বিরোধী দলগুলি তৃণমূল সরকারের আমলে নিয়োগে “বাণিজ্যিকীকরণ”-এর অভিযোগ তোলে ।  

উপসংহার:  

এসএসসি কেলেঙ্কারির জটিলতা সমাধানে আদালত ও সরকারি প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়েছেন ব্রাত্য বসু। তবে, আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে সরকারের সংলাপের অভাব এবং দাবি পূরণে অনিশ্চয়তা এই সংকটকে দীর্ঘস্থায়ী করছে। রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রেক্ষিতে এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাখাতের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট করেছে।