BIG NEWS: দুটো বিষয় বিবেচনা করবে সুপ্রিম কোর্ট! কি হল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা? জেনেনিন বিস্তারিত

প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে, না কি, বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের বাছাই করে বাতিল করা হবে, এই দু’টি মূল বিষয় আদালত বিবেচনা করবে। আজ দেশের সর্বোচ্চ আদলত সুপ্রিম কোর্টে চাকরি বাতিল মামলার শুনানি ছিল।

7323

SSC, সুপ্রিম কোর্ট: বিবেচনা করা হবে দুটো বিষয়, সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে, না কি, বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের বাছাই করে বাতিল করা হবে, এই দু’টি মূল বিষয় আদালত বিবেচনা করবে। আজ দেশের সর্বোচ্চ আদলত সুপ্রিম কোর্টে চাকরি বাতিল মামলার শুনানি ছিল।

প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি করা হবে। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘‘আমার দু’টো বিষয় বিবেচনা করব। অহেতুক বিষয়টি নিয়ে জটিলতা বৃদ্ধি করবেন না।’’ কী সেই দু’টি বিষয়, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে, না কি, বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের বাছাই করে বাতিল করা হবে, এই দু’টি মূল বিষয় আদালত বিবেচনা করবে।

প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, এই বিষয়টি গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা নেই। হাই কোর্টে বিষয়টি বলা হয়েছিল। হাই কোর্ট বিবেচনা করেই রায় দিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘অহেতুক একাধিক বিষয় ঢুকিয়ে জটিলতা বৃদ্ধি করবেন না। অত্যন্ত লিমিটেড ইস্যু। তা নিয়েই শুনানি হবে।’’

পড়ুন:  SSC: এসএসসি শূন্যপদ বেড়েছে, আগের 9583টির পরিবর্তে 11518টি পদ পূরণ করা হবে

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে বেশ কিছু ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) উদ্ধার করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিচ্যুতদের আইনজীবী। তাঁর সওয়াল, ওই সব নথির ৬৫বি করা হয়নি। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, এই বিষয়টি গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা নেই। হাই কোর্টে বিষয়টি বলা হয়েছিল। হাই কোর্ট বিবেচনা করেই রায় দিয়েছে।

পড়ুন:  এটা হলেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে! নিয়োগ নিয়ে যা জানালেন শিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ওই রায় দেয়। তার ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেখানে রাজ্য ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মামলা দায়ের করে। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশও। আদালত জানিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার ফের শুনানি হবে। তবে আদালত বিবেচনা করবে, সবার চাকরি যাবে নাকি বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের বাছাই করে বাতিল করা হবে।

পড়ুন:  WBSSC SLST Mathematics: পূর্ববর্তী প্রশ্নপত্র, সহকারী শিক্ষক নবম-দশম শ্রেণী এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর প্রশ্নপত্র PDF

এই বিষয়ে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কনভেনার চন্দন গরাই বলেন, যোগ্যদের অতিদ্রুত সম্মানের সাথে স্কুলে স্থায়ী আদেশনামা দিয়ে পাঠদানের সুযোগ করে দিক সুপ্রিম কোর্ট।