Homeপশ্চিমবঙ্গBIG NEWS: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় যোগ্য-অযোগ্যদের চিহ্নিত করা সম্ভব, জানাল...

BIG NEWS: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় যোগ্য-অযোগ্যদের চিহ্নিত করা সম্ভব, জানাল SSC

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা নিয়ে বড় খবর সামনে এল। যোগ্য-অযোগ্যদের চিহ্নিত করা সম্ভব, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। 

SSC চাকরি বাতিল মামলা: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা নিয়ে বড় খবর সামনে এল। যোগ্য-অযোগ্যদের চিহ্নিত করা সম্ভব, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। 

সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চে শুরু হয় শুনানি। রাজ্যের হয়ে সওয়াল করছেন আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী।

শুনানিতে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “নম্বর কারচুপি হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার নম্বর বৃদ্ধি করা হয়েছে।” তার পরেই তিনি রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বাছাই করতে রাজ্যের সম্মতি রয়েছে কি না। রাজ্যের আইনজীবী জানান, যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাইয়ে তাঁদের সমর্থন রয়েছে। নিজেদের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে তাঁর সংযোজন, তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই বিষয়ে আলাদা আলাদা তথ্য দিয়েছে।

এসএসসির আইনজীবী আদালতে জানান, নিয়োগ তালিকায় থাকা যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বাছাই করা সম্ভব? তার পরেই এসএসসির উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “আমাকে বোঝান কেন হাই কোর্ট বলল (যোগ্য-অযোগ্য) আলাদা করা সম্ভব নয়?”

সিবিআই-এর রিপোর্টে পাঁচ হাজারেরও বেশি নিয়োগে যে দুর্নীতি রয়েছে, তা স্বীকার করেছে নিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের তরফে আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী  শুনানিতে এও জানিয়েছেন, যে বেনিয়মগুলো হয়েছে, তাতে রাজ্যের ক্যাবিনেট সেগুলিতে ইচ্ছা করে সেগুলিতে প্রোকেক্ট করার চেষ্টা করেছে। প্রধান বিচারপতি তখন প্রশ্ন করেন, পৃথকীকরণ কি করা সম্ভব? অর্থাৎ যোগ্য অযোগ্যদের কি আলাদা করা সম্ভব? রাজ্যের আইনজীবী জানান, রাজ্য সরকার সেটাই করতে চেয়েছে, কারণ সিবিআই একাধিক তথ্য জমা করেছে।

পড়ুন:  কয়েক হাজার শূন্যপদে কবে হবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ? বড় খবর সামনে এল, জেনেনিন বিস্তারিত

এসএসসি-র তরফে আইনজীবী জয়দীপ ঘোষও জানিয়েছেন, পৃথকীকরণ সম্ভব। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এতদিন কেন পৃথকীকরণ হল না?  এসএসসির উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন করেন, “আমাকে বোঝান কেন হাই কোর্ট বলল (যোগ্য-অযোগ্য) আলাদা করা সম্ভব নয়?”

বৃহস্পতিবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, “৬৫বি নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। ৬৫বি করলে বোঝা সম্ভব হার্ড ডিস্ক থেকে কী ডাউনলোড করা হয়েছে। আর কী আপলোড করা হয়েছিল। এর সঙ্গে প্রমাণের কী সম্পর্ক রয়েছে?” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “৬৫বি করে বোঝা সম্ভব নয় সার্ভারে তথ্য কারচুপি হয়েছে।”

পড়ুন:  বিএড করা প্রাথমিক শিক্ষকের A ক্যাটাগরির বেতন স্কেল দেওয়া সম্পর্কিত তথ্য চেয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নিদের্শ

সুপ্রিম কোর্টের আজ প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। এর আগে মামলাটি শুনেছিল সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। ডিওয়াই চন্দ্রচূড় হাইকোর্টের চাকরি বাতিল নির্দেশ স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার এজলাসে মামলা উঠে। ওই দিন বিচারপতি বলেছিলেন, গোটা প্যানেল নাকি বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের চাকরি বাতিল হবে, তা নিয়ে শুনানি হবে। 

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments