BIG NEWS: শিক্ষক নিয়োগে এখনই হস্তক্ষেপ নয়! এসএসসির নতুন নিয়োগে কি জানাল কলকাতা হাইকোর্ট?

2209
এসএসসি কলকাতা হাইকোর্ট

নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় খবর সামনে এল। ‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এখনই হস্তক্ষেপ নয়’, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন শিক্ষক বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত মামলা শুনল না কলকাতা হাই কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে গত মাসের শেষেই ২০১৬ সালের চাকরিহারাদের জন্য নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। পরীক্ষার বিধিতেও নানা বদল আনা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। যদিও এখনই সেই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না আদালত।

পড়ুন:  কোর্ট বললেই তালিকা, রিভিউ পিটিশন পর্যন্ত অপেক্ষা করার বার্তা,আইনজ্ঞদের অনুমতি মেলেনি: ব্রাত্য বসু

মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সোমবার উচ্চ আদালতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এখনই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা হবে না। জরুরী শুনানি করল না আদালত। জুলাই মাসে মামলা শুনতে পারে আদালত।

এদিন চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘‘২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসএসসি-র নতুন বিজ্ঞপ্তিতে অনেক বিধিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তির অনুরূপ নয়। নতুন এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়ম বদল হলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের সুযোগ আরও কমে যাবে।’’ 

পড়ুন:  SSC: শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত প্রার্থী বেড়েই চলছে, বড় খবর ওয়েটিং প্রার্থীদের জন্য, দেখেনিন সম্পূর্ণ হিসাব

এর পরেই বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য জানান, এসএসসির নতুন বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত বিষয়ে এখনই হস্তক্ষেপ করবে না হাই কোর্ট। বিচারপতি জানান, আপাতত নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক ভাবে চলতে দেওয়া হবে। এর মধ্যে ফের কোনও অসুবিধা বা সমস্যা তৈরি হলে তখন আদালত বিষয়টি দেখবে। অন্যথায় আগামী জুলাই মাসে মামলা শুনবে আদালত।

নতুন এসএসসির বিজ্ঞপ্তি নিয়ে মামলাকারী লুবানা পারভিনের দাবি, ৪৪ হাজার নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি ও রুল প্রকাশ করা হয়েছে তার অবৈধ। বয়সের ছাড় থেকে অভিজ্ঞতার নম্বর, সব ক্ষেত্রে নির্দেশ লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেই দাবি তাঁর।

পড়ুন:  শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আদালতে মিলল বিরাট জয়! ৬% সুদ সহ বকেয়া ভাতা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ আদালতের

আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১৬ সালের সিলেকশন প্রক্রিয়া ওই সালের রুল অনুযায়ী করতে হবে এবং ২০১৬ সালের ক্যান্ডিডেটদের মধ্যে থেকেই তা করার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই নির্দেশ মানা হয়নি। বয়সের ছাড়ের বিষয়টিও নির্দেশ মেনে হয়নি বলে দাবি মামলাকারীর। যদিও নতুন নিয়োগে হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট।