Big New: নিয়োগের কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে হবে! ১০৭ শিক্ষককে তলব করল সিবিআই

10724
শিক্ষক বেতন স্কেল

নিউজ ডেস্ক: রাজ্য শিক্ষক দুর্নীতি কাণ্ডে এবার বড় খবর সামনে এল। মোট ১০৭ জন প্রাথমিক শিক্ষককে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এঁরা সকলেই ২০১৪ সালে শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তালিকায় কোচবিহার জেলার তিন শিক্ষক রয়েছেন— মোস্তাফিজুর রহমান, কমলকুমার বর্মন ও সুজিত বিশ্বাস। রাজ্য জুড়ে শিক্ষামহলে এই তলবনামাকে ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। 

এই বিষয়ে জানা গেছে, গত ৪ মার্চ কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের (ডিপিএসসি) চেয়ারম্যানের কাছে সিবিআই-র চিঠি পৌঁছায়। তাতে ৬ মার্চ কলকাতায় সিবিআই দপ্তরে হাজির হয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোচবিহারের তিন শিক্ষককে। 

মোস্তাফিজুর রহমান দিনহাটার ওয়েস্ট সার্কেল, কমলকুমার বর্মন বামনহাট সার্কেল এবং সুজিত বিশ্বাস মাথাভাঙ্গা-২ সার্কেলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এ ছাড়া বাঁকুড়া, হুগলি, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর দিনাজপুর জেলার শিক্ষকরাও তালিকায় রয়েছেন।  

পড়ুন:  TET: তবে কি ২০২৩-এর টেটের ফল এখনই প্রকাশ হচ্ছে না? যা জানালেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল

কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান রজত বর্মা বলেন, ‘‘৪ মার্চ চিঠিটি পেয়েই সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কলকাতায় সিবিআই দপ্তরে হাজির হতে বলা হয়েছে। এঁদের সবাই ২০১৪ সালের নিয়োগপ্রাপ্ত।’’ তবে কেন এই তলব, তা নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। তলব পাওয়া শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘কোনো কারণ বলা হয়নি। শুধু নিয়োগের কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।’’  

পড়ুন:  শিক্ষক নিয়োগ: রাজ্যের স্কুলে স্থায়ী শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে, আবেদন করুন এইভাবে

গত কয়েকদিনে সংশ্লিষ্ট ১৪টি জেলার ডিপিএসসি চেয়ারম্যানদের কাছে সিবিআই-র চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি চিঠিতে আলাদা তারিখে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সকলের হাজিরার তারিখ এক নয়। কোচবিহারের ক্ষেত্রে ৬ মার্চ ধার্য হয়েছে।  

শিক্ষকদের একাংশের অভিমত, ২০১৪ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও অনিয়মের অভিযোগ থাকলে তা তদন্তের জেরেই এই তলব হতে পারে। তবে সরকার বা প্রশাসনের তরফে এখনও বিষয়টি নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা আসেনি। এদিকে, সিবিআই-র এই তদন্তের খবর ছড়াতেই রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে চাপা অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ সত্যি হলে ভবিষ্যতে এর প্রভাব কতটা পড়তে পারে? রহস্য ঘনীভূত হওয়ায় সকলের নজর এখন সিবিআই-র পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।