নিউজ ডেস্ক: এ এক বেনজির ঘটনা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কম্পিউটার সায়েন্স, হিন্দি, সমাজকর্ম ও সংস্কৃত বিভাগে ইডব্লুএস (আর্থিকভাবে অনগ্রসর), ওবিসি, এসসি, এসটি এবং জেনারেল ক্যাটেগরির একাধিক পদ শূন্য থাকার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে সিলেকশন কমিটির নথিতে। এ নিয়ে শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ শিক্ষকও বিষয়টিকে “বিষ্ময়কর” বলে উল্লেখ করেছেন। এই নিয়ে প্রশ্নও উঠছে।
জানা গেছে, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ইডব্লুএস ক্যাটেগরির একটি পদে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি। হিন্দি বিভাগে ওবিসি ও ইডব্লুএস কোটার দুটি পদই অরিক্ত থেকে গেছে। এ ক্ষেত্রে পরপর দু’বার সিলেকশন কমিটির বৈঠকেও প্রার্থী মেলেনি। সমাজকর্ম বিভাগে এসসি, এসটি ও ইডব্লুএসের তিনটি পদ শূন্য রয়েছে। ওবিসি ক্যাটেগরির দুটি পদের মধ্যে একটি পূর্ণ হলেও দ্বিতীয়টির জন্য বৈঠকে কোনো প্রার্থীই উপস্থিত হননি। সংস্কৃত বিভাগে জেনারেল ক্যাটেগরির একটি পদে প্রার্থী “অনিয়োগযোগ্য” বিবেচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ইডব্লুএস ক্যাটেগরিতেও যোগ্যতা পূরণকারী প্রার্থীর অভাব লক্ষ করা গেছে।
গত ডিসেম্বরেই সিলেকশন কমিটির বৈঠক শেষ হয়। জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সভায় এই সংকট স্বীকার করা হয়েছে। তবে সরকারিভাবে এখনও কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি কর্তৃপক্ষ। সূত্রমতে, “এ ধরনের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক নয়। নিয়ম অনুযায়ী পুনরায় প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে উপাচার্য যোগেশ সিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন শিক্ষক representatives। সংগঠনের নির্বাহী সদস্য আভা দেব হাবিব বলেন, “এটি একটি বিস্ময়কর ঘটনা। বিভিন্ন বিভাগে এভাবে যোগ্য প্রার্থীর অভাব কেন? প্রশাসনকে বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে।”
শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, সংরক্ষিত ক্যাটেগরিতে যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীর অনুপস্থিতি উচ্চশিক্ষার মান ও বৈচিত্র্যের প্রশ্নে চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। বিশেষ করে কম্পিউটার সায়েন্সের মতো প্রযুক্তিনির্ভর বিভাগে এই সংকট ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগজনক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কবে নাগাদ এই শূন্য পদ পূরণ করতে পারে, তা এখন সবার চোখ থাকবে আগামী প্রক্রিয়ার দিকে।