শিক্ষিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু: এবার এক অত্যন্ত দুঃখজনক খবর সামনে এল। আত্মঘাতী হলেন স্কুল শিক্ষিকা! মানসিক হেনস্থার শিকার হয়ে ফেসবুকে ভিডিও শেয়ার করে আত্মঘাতী স্কুল শিক্ষিকা। ডানলপের একটি বেসরকারি স্কুলের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, বছর ৫৮-র শিক্ষিকা জাসবির কউরের উপর দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের প্রিন্সিপাল থেকে শুরু করে কমিটির লোকজন মানসিক নির্যাতন ও হেনস্থা করছিল। সেই মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বরানগর বারুইপাড়া লেনে নিজের আবাসনের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই শিক্ষিকা।
স্কুল সূত্রের খবর, ২২ বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতায় B.ED ছিল না তাঁর। আর তাই নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত। এই নিয়েই হতাশায় ছিলেন ৫৮ বছরের যশবীর। অভিযোগ, প্রিন্সিপালের সঙ্গে গত পরশু অর্থাৎ মৃত্যুর আগের দিন মিটিংও হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকেই একটু উদাসীন হয়ে পড়েছিলেন তিনি। স্কুলের প্রিন্সিপাল-সহ মোট পাঁচজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত শিক্ষিকার পরিবার।
শিক্ষিকার ভিডিয়ো এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। বস্তুত, ভিডিয়ো দেখেই বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে জসবীরের ফ্ল্যাটে পৌঁছন তাঁর ভাই। দরজা ভেঙে ওই শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি। মৃতের ভাই জানিয়েছেন, ‘ওর সঙ্গে তিন-চার বছর ধরে স্কুল থেকে এত বেশি মানসিক অত্যাচার করা হত। মাথাটা ঠিক থাকল না। স্কুল থেকে এসে বলত, খুব অত্যাচার করছে এরা। কুড়ি বছরের বেশি পড়াচ্ছিলেন। বার বার বলা হচ্ছে, টিচার্স ট্রেনিংয়ের কোর্স করে লেটা দাও এখানে। আমার জামাইবাবুর মৃত্যুর পর ওকে চাকরি দিয়েছিল স্কুল পরিচালন সমিতি’। অভিযোগ, ‘প্রিন্সিপাল তো খুবই অত্যাচার করতেন। এত বছর ধরে পড়াচ্ছেন, কীভাবে ওকে বার করে দিল। আগে দু’চারজন শিক্ষকের গ্র্যাচুইটি দেয়নি’।
পুরো বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। দোষীদের শাস্তির দাবিতে দক্ষিণেশ্বর থানায় আঅসেন শিক্ষিকার আত্মীয়রা। স্কুলের বিরুদ্ধে পুলিসের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। দ্রুত বিচারের দাবি তুলেছেন তাঁরা।