নিউজ ডেস্ক: এবার এক অত্যন্ত দুঃখজনক খবর সামনে এল। ছেলে-বৌমার চাকরি বাতিলের খবরে শুনে হৃদ্রোগে মৃত্যু হল বৃদ্ধার! পূর্ব বর্ধমানে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় নেমেছে শোকের হওয়া। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর মানসিক চাপের বলি আরও এক পরিবার।
পূর্ব বর্ধমানের সোনাকুড় গ্রামের মঞ্জুলা যশ (৬৯)-এর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ছেলে অর্ণব যশ এবং পুত্রবধূ চন্দ্রাণী দত্ত—দু’জনেই তাঁদের শিক্ষকতার চাকরি হারান সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর। অর্ণব ছিলেন বীরভূমের চাতরা গণেশলাল হাই স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক এবং চন্দ্রাণী নওয়াপাড়া হাই স্কুলে ভূগোলের শিক্ষিকা।
জানা গেছে, এই খবর পাওয়ার পর থেকেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন মঞ্জুলা দেবী। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকালে তিনি প্রয়াত হন। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল বর্ধমানের বামচাঁন্দাইপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
চন্দ্রাণীর দিদি ইন্দ্রাণী দত্ত জানান, “হাই কোর্টের রায়ের পর থেকেই পিসিমা ভেঙে পড়েছিলেন। এরপর সুপ্রিম কোর্টের রায় তাঁকে একেবারে কাবু করে দেয়। হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন।”
মৃতার পরিবার পরিজন সকলেই এই ঘটনায় রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। সদ্য চাকরিহারা চন্দ্রাণী দত্তের দিদি ইন্দ্রাণী দত্ত বলেন, “সাত বছর চাকরি করার পর চাকরি বাতিল। এটাও সম্ভব! মানতে পারছি না।”
চাকরিহারা শিক্ষক অর্ণব যশ বলেন, “হাইকোর্টের রায়ে আমাদের চাকরি বাতিল হওয়ার পর থেকেই মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার রায় জানার পরে ভেঙে পড়েছিলেন। প্রচণ্ড অসুস্থ বোধ করায় আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু মাকে বাঁচাতে পারলাম না।”