Homeপশ্চিমবঙ্গ৫০০জন সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও মেধা তালিকায় স্থান পায়নি! অযোগ্যদের শিক্ষক পদে নিয়োগ...

৫০০জন সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও মেধা তালিকায় স্থান পায়নি! অযোগ্যদের শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়ে বিরাট প্রশ্নের মুখে পর্ষদ

নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার বড় খবর সামনে এল। তথ্য গোপন করে প্রাথমিকে শিক্ষক পদে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে! বড় প্রশ্নের মুখে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আদালতে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল পর্ষদ। 

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (primary recruitment corruption) নিয়ে একটি মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই তথ্য গোপন করে যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ ওঠে পর্ষদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার পর্ষদকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

বিচারপতির প্রশ্ন, ‘প্রায় ৫০০জন চাকরিপ্রার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও মেধা তালিকায় স্থান পায়নি। অথচ অযোগ্যদের মেধা তালিকায় স্থান দিয়ে কীভাবে নিয়োগের প্রস্তাব?’ এক সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ২০১১ সালে লিখিত পরীক্ষা হয়। কিন্তু সেই লিখিত পরীক্ষা পরবর্তী সময় বাতিল হয়ে যায়। পরে আবার লিখিত পরীক্ষা হয় ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ। এরপর ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করে উওর ২৪ পরগনা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।

এ বিষয়ে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে একটি মামলা দায়ের হয়। পর্ষদের জমা দেওয়া তালিকার ভিত্তিতে যোগ্যদের নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এক্ষেত্রেই আদালতে তথ্য গোপনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

পড়ুন:  শিক্ষক নিয়োগ: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়টি বিষয়ে সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে গেস্ট টিচার নিয়োগ করা হবে

৫০০ জন মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী আদালতে বলেন, এই ৫০০ জন চাকরিপ্রার্থীদের বেশি নম্বর থাকা সত্ত্বেও, তাঁদের মেধা তালিকায় স্থান না দিয়ে তথ্য গোপন করে অযোগ্যদের স্থান পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরই এবিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments