SSC: আন্দোলনের চাপে সুপ্রিম কোর্টে অযোগ্যদের তথ্য পেশ! যোগ্য-অযোগ্যদের পৃথকীকরণ সম্ভব বলে জানাল এসএসসি

18430
SSC supreme court

নিউজ ডেস্ক: আবেদন অনুযায়ী দেশের সর্বোচ্চ আদালতে হলফনামা জমা করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। এসএসসি ১৫ পাতার ফাইনাল সাবমিশনে সুপ্রিম কোর্টে দাবি জানিয়েছে যে যোগ্য এবং অযোগ্যদের পৃথকীকরণ সম্ভব। তবে নতুন হলফনামা অনুযায়ী ‘অযোগ্য’ চাকরিপ্রাপকের সংখ্যা কমল। এসএসসি সুপ্রিম কোর্টে জানাল, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা ৫ হাজার ৩০৩ জন। এসএসসি আগে জানিয়েছিল, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ৫ হাজার ৪৮৫। অর্থাৎ হলফনামায় সেই সংখ্যাই কমে গেল।

এই বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “কলকাতার ওয়াই চ্যানেলে রাতদিন অবস্থানে থেকে নানাভাবে লাগাতার লড়াই আন্দোলনের চাপে শেষ পর্যন্ত এসএসসি সুপ্রিম কোর্টের কাছে অযোগ্যদের তালিকা পেশ করল। এর ফলে সেগ্রিগেশনের পথ অনেকটা প্রশস্ত হলো। আমরা চাই প্রকৃত যোগ্যরা সসম্মানে বিদ্যালয়ে পুনর্বহাল হোক। অনুমানের ভিত্তিতে কোনভাবেই পুরো প্যানেল বাতিল করা চলবে না। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত মাথারা কঠোর শাস্তি পাক।”

এসএসসি অযোগ্য শিক্ষক

প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি শেষ শুনানি ছিল এবার রায়দান হবে। শুনানি শেষ হয়ে যাওয়ার পরে এসএসসি নতুন করে হলফনামা জমা করার জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। আদালত কিছুটা অবাক হলেও, হলফনামা জমা করার অনুমতি দিয়েছিল। সেই হিসাবে হলফনামা জমা করা হল। 

পড়ুন:  SSC: ১৭ এপ্রিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদনের ভিত্তিতে মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে, বিস্তারিত জেনেনিন

শেষ শুনানির দিন সিবিআইয়ের আইনজীবী যুক্তি দেন, “নায়সা আমাদের জানায় যে কোনও ডেটা নেই। তারপর আমরা ডেটা স্ক‍্যানটেক থেকে ডেটা সংগ্রহ করি। এরপর আমরা পঙ্কজ বনশলের (নায়সার প্রাক্তন কর্তা) কাছ থেকে ডেটা সংগ্রহ করি। দুটো ডেটাকে মিলিয়ে দেখি। ডেটা স্ক্যানটেক থেকে পাওয়া তথ্য ও পঙ্কজ বনশলের তথ্য মিলেছে। পঙ্কজ বনশলের কাছ থেকে পাওয়া ডেটা নির্ভুল। এসএসসির কাছে যে ডেটা ছিল, তাতে কারসাজি হয়েছিল। আমাদের তদন্তে স্পষ্ট, পঙ্কজ বনশলের কাছে যে ডেটা রয়েছে, তাতে কারসাজি হয়নি। পঙ্কজ বনশনের ডেটা ধরে যোগ্য ও অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পৃথক করা সম্ভব।”

পড়ুন:  SSC: শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত প্রার্থী বেড়েই চলছে, বড় খবর ওয়েটিং প্রার্থীদের জন্য, দেখেনিন সম্পূর্ণ হিসাব

যদিও প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “সিবিআই বলছে, বনশলের ডেটা প্রকৃত সত্য। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি না এটাই প্রকৃত ডেটা। কারণ আমাদের হাতে অরিজিনাল মার্কসিট নেই। আমরা পঙ্কজ বনশলের ডেটাকেও সন্দেহ করছি।” শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। যেকোনওদিন এই মামলার রায়দন হতে পারে।