SSC: আন্দোলনের চাপে সুপ্রিম কোর্টে অযোগ্যদের তথ্য পেশ! যোগ্য-অযোগ্যদের পৃথকীকরণ সম্ভব বলে জানাল এসএসসি

18458
SSC supreme court

নিউজ ডেস্ক: আবেদন অনুযায়ী দেশের সর্বোচ্চ আদালতে হলফনামা জমা করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। এসএসসি ১৫ পাতার ফাইনাল সাবমিশনে সুপ্রিম কোর্টে দাবি জানিয়েছে যে যোগ্য এবং অযোগ্যদের পৃথকীকরণ সম্ভব। তবে নতুন হলফনামা অনুযায়ী ‘অযোগ্য’ চাকরিপ্রাপকের সংখ্যা কমল। এসএসসি সুপ্রিম কোর্টে জানাল, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা ৫ হাজার ৩০৩ জন। এসএসসি আগে জানিয়েছিল, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ৫ হাজার ৪৮৫। অর্থাৎ হলফনামায় সেই সংখ্যাই কমে গেল।

এই বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “কলকাতার ওয়াই চ্যানেলে রাতদিন অবস্থানে থেকে নানাভাবে লাগাতার লড়াই আন্দোলনের চাপে শেষ পর্যন্ত এসএসসি সুপ্রিম কোর্টের কাছে অযোগ্যদের তালিকা পেশ করল। এর ফলে সেগ্রিগেশনের পথ অনেকটা প্রশস্ত হলো। আমরা চাই প্রকৃত যোগ্যরা সসম্মানে বিদ্যালয়ে পুনর্বহাল হোক। অনুমানের ভিত্তিতে কোনভাবেই পুরো প্যানেল বাতিল করা চলবে না। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত মাথারা কঠোর শাস্তি পাক।”

এসএসসি অযোগ্য শিক্ষক

প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি শেষ শুনানি ছিল এবার রায়দান হবে। শুনানি শেষ হয়ে যাওয়ার পরে এসএসসি নতুন করে হলফনামা জমা করার জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। আদালত কিছুটা অবাক হলেও, হলফনামা জমা করার অনুমতি দিয়েছিল। সেই হিসাবে হলফনামা জমা করা হল। 

পড়ুন:  BIG NEWS: শিক্ষক নিয়োগের ওএমআর শিট এ বার ১০ বছর সংরক্ষণ করবে রাজ্য, শুরু হল এই প্রক্রিয়া

শেষ শুনানির দিন সিবিআইয়ের আইনজীবী যুক্তি দেন, “নায়সা আমাদের জানায় যে কোনও ডেটা নেই। তারপর আমরা ডেটা স্ক‍্যানটেক থেকে ডেটা সংগ্রহ করি। এরপর আমরা পঙ্কজ বনশলের (নায়সার প্রাক্তন কর্তা) কাছ থেকে ডেটা সংগ্রহ করি। দুটো ডেটাকে মিলিয়ে দেখি। ডেটা স্ক্যানটেক থেকে পাওয়া তথ্য ও পঙ্কজ বনশলের তথ্য মিলেছে। পঙ্কজ বনশলের কাছ থেকে পাওয়া ডেটা নির্ভুল। এসএসসির কাছে যে ডেটা ছিল, তাতে কারসাজি হয়েছিল। আমাদের তদন্তে স্পষ্ট, পঙ্কজ বনশলের কাছে যে ডেটা রয়েছে, তাতে কারসাজি হয়নি। পঙ্কজ বনশনের ডেটা ধরে যোগ্য ও অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পৃথক করা সম্ভব।”

পড়ুন:  ফেরাতে হবে চাকরি, বকেয়া বেতনও মিটিয়ে দিতে হবে! বরখাস্ত শিক্ষিকাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া হল, জেনেনিন বিস্তারিত

যদিও প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “সিবিআই বলছে, বনশলের ডেটা প্রকৃত সত্য। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি না এটাই প্রকৃত ডেটা। কারণ আমাদের হাতে অরিজিনাল মার্কসিট নেই। আমরা পঙ্কজ বনশলের ডেটাকেও সন্দেহ করছি।” শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। যেকোনওদিন এই মামলার রায়দন হতে পারে।