নিউজ ডেস্ক: আন্দোলন চালাচ্ছেন যোগ্য শিক্ষকরা। নিজেদের চাকরি রক্ষার দাবিতে আজ ৬ তারিখ বেলা ১২ টায় কালিঘাট অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন যোগ্য শিক্ষকরা। যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা তালিকা করার দাবিতে y চ্যানেলে টানা অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এসএসসির (SSC) যোগ্য শিক্ষকরা। যদিও জানা যাচ্ছে y চ্যানেলে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। অনেক যোগ্য শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে আগামী সোমবার ১০ই ফেব্রুয়ারি এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানি আছে। এরই মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি তথা এসটিইএ’র উদ্যোগে শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী স্কুল সার্ভিস কমিশন অফিসে বিক্ষোভ দেখান। ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল, কমিশনের চেয়ারম্যান ডক্টর সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, স্মারকলিপিও প্রদান করেন।
তাঁদের দাবি, ২০১৬ প্রথম এসএলএসটি প্যানেলে যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে নিযুক্ত সব শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরিতে বহাল রাখতে হবে। সঙ্গে এই প্যানেলের দুর্নীতিকারীদের চূড়ান্ত শাস্তিও দাবি করা হয়। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে যোগ্য শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের যথাযথ নথি জমা করতে হবে।
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “যোগ্যদের সসম্মানে পুনর্বহালের জন্য সেগ্রিগেশনের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে অভিযানে আমাদের সংগঠনের সদস্য সহ আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তারের জবাব চাই। অবিলম্বে সকল আন্দোলনকারীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, সেগ্রিগেশনের দাবিতে আজকের অভিযানের শুরুতেই পুলিশের আক্রমণ এবং যথেচ্ছ ভাবে গ্রেফতার করা হয়। আমাদের সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব এবং আন্দোলন কারীদের নেতৃত্ব সহ অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা গ্রেপ্তার। ধর্মতলায় অবরোধ হলে পুলিশের বর্বোরোচিত আক্রমণ! এদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় নেই মুখ্যমন্ত্রীর! গ্রেফতার এবং এই আক্রমণের তীব্র ধিক্কার জানাই। মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাতের পাশাপাশি রাজ্য সরকার তথা এস এস সি যোগ্য-অযোগ্য পৃথকীকরণের তালিকা রেডি করে সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়ে যোগ্যদের সসম্মানে পুনর্বহালের ব্যবস্থা নিশ্চিত করুক। না হলে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তার জন্য দায়ী থাকবে রাজ্য সরকার। y চ্যানেলে অবস্থান মঞ্চে পুলিশ ব্যারিকেড করে আন্দোলনকারীদের ঢুকতে দিচ্ছে না।