HomeকলকাতাBIG NEWS: ক্লাসরুমে বিয়ে' বিতর্কে ইস্তফা দিলেন সেই অধ্যাপিকা! যা জানা গেল

BIG NEWS: ক্লাসরুমে বিয়ে’ বিতর্কে ইস্তফা দিলেন সেই অধ্যাপিকা! যা জানা গেল

নিউজ ডেস্ক: ক্লাসরুমেই ছাত্র-অধ‍্যাপিকার বিয়ে! ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওকে কেন্দ্র করে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে রাজ‍্যে। ছবি সামনে আসতেই পড়ে যায় হইচই। এটিকে একটি প্রজেক্টের অংশ বলে দাবি করেছেন ওই অধ্যাপিকা। ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই কমিটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়ে মৌলানা আবুল কালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে। এবার ক্লাসরুমে বিয়ে’ বিতর্কে ইস্তফা দিলেন ম্যাকাউটের অধ্যাপিকা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগেই ছুটিতে পাঠিয়েছিল তাঁকে। এবার পদত্যাগ করলেন তিনি।

‘বিয়ে’ বিতর্কে ইস্তফা দিলেন ম্যাকাউটের অধ্যাপিকা। ম্যাকাউটের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অধ্যাপিকার ‘নাটক’ তত্ত্ব খারিজ হতেই ইস্তফার সিদ্ধান্ত। এখন এই ইস্তফা গ্রহণ হবে কিনা সেটাই দেখার।

এর আগে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সামনে আসে। যেখানে, নাটকের অংশ বলে যে দাবি করেছিলেন অভিযুক্ত অধ্যাপিকা, সম্পূর্ণ তা খারিজ করে দেওয়া হয়। স্পষ্ট করা হয়েছে, ‘মজা করার নামে নোংরামি করা হয়েছে।’

এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী জানান, শ্রেণিকক্ষে অধ্যাপিকাকে ছাত্রের সিঁদুরদানের ঘটনা ‘নিম্নমানের কৌতুক’। এ নিয়ে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠন করবেন কর্তৃপক্ষ। সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে যথাযোগ্য পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ো নিয়ে অধ্যাপিকা দাবি করেছিলেন, বিয়ের দৃশ্যটি একটি নাটকের অংশ ছিল। সেই দাবি মানতে নারাজ উপাচার্য তাপস। তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘এটা নাটক নয়। নিম্নমানের কৌতুক। নাটক হলে তার চিত্রনাট্য থাকতে হবে। দাবি করা হচ্ছে, রীতি দেখানো হয়েছে। কী রীতি দেখানো হয়েছে? পরীক্ষার ১০ দিন আগে পড়াশোনার পরিবর্তে এ সব বিষয় নিয়ে মেতে উঠেছেন শ্রেণিকক্ষে!’’ উপাচার্য এ-ও জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সব নিয়ে কিছু জানতেন না। অনুমতিও দেননি। সমাজমাধ্যমে হাসাহাসি হচ্ছে। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি বিষয়টি দেখবে এ বার। এক জন শিক্ষকের কাছ থেকে কী প্রত্যাশিত, তা বিচার করা হবে।’’ 

যদিও অ্যাপ্লাইড সাইক্লোজির বিভাগীয় প্রধান পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমার কাছে অফিশিয়ালি এই বিষয়ে কোনও ইনফরমেশন আসেনি। এবং আমার কাছে কোনও মেলও আসেনি। আমাকে কোনও কিছু জানায়ওনি। যতক্ষণ অবধি অফিশিয়ালি কেউ এই জিনিসটা জানাবে না , ততক্ষণ অবধি এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য দেওয়াটা উচিত নয়।’ 

ক্লাসরুমেই কনের সাজে দাঁড়িয়ে থাকা বিভাগীয় প্রধানের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়া। আর এই ঘটনার সাক্ষী ক্লাসের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা। মঙ্গলবার রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ম্যাকাউট’-এর হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের এই ভিডিওটি মূহুর্তে ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। বিভাগীয় প্রধানকে ইতিমধ্যে ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

পড়ুন:  PhD Admission: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ভর্তি আবার শুরু হয়েছে, এল বড় খবর

এরপরেই মুখ খুলেছিলেন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজির অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান ফ্রেশার্স অনুষ্ঠানের একটি অংশে বিয়ের বিষয়টি ছিল। তিনি বলেন, “কোনও ড্রামার একটা ক্লিপিং এভাবে ভাইরাল হতে পারে এটা আমার চিন্তার বাইরে। টিচার্স ডে, ফ্রেশার্স ডে এসব অনুষ্ঠানে তো নাচ, গান, নাটক হয়। কিন্তু নাচ, গান বাজে নাটকের একটা নির্দিষ্ট অংশ ভাইরাল হয়েছে। এটা আমরা ফ্রেশার্স পার্টি প্ল্যান করেছিলাম। যেখানে নাচ, গান, ড্রামা সবই হচ্ছে। সেই হিসেবেই ড্রামাটা হয়েছিল, যেখানে ছাত্র এবং শিক্ষক অংশগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু একটা পার্ট নিয়ে সেটা ভাইরাল করে দিল। এটা আমার জন্য আশ্চর্যজনক বিষয়। আমার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। আমি আইনি পথে হাঁটছি এবং অভিযোগও জানিয়েছি। আমি কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ যে তদন্ত কমিটি করেছে। যাঁরা তদন্ত করে সত্যিটা সামনে নিয়ে আসবে।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments