প্রথমেই হবে শুনানি! SSC ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার “সুপ্রিম” শুনানি নিয়ে আপডেট সামনে এল

SSC ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে।

13360
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না

SSC মামলা, সুপ্রিম কোর্ট: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় শুনানির তারিখ দেওয়া হল। ৭ জানুয়ারি মামলাটির শুনানি হবে। মামলাটি ১ নম্বর সিরিয়ালে রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সকাল ১০.৩০ নাগাদ মামলাটির শুনানি শুরু হবে। প্রধান বিচারপতির এজলাসে শুনানি হবে। পুরো পরীক্ষা বাতিল, না খোঁজ ঘুষদাতাদের, শুনবে দেশের সর্বোচ্চ আদলত সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে কলকাতা হাই কোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছিল। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না জানিয়েছেন, আগামী শুনানিতে বিস্তারিত শোনা হবে।

পড়ুন:  তীব্র গরমে বিভিন্ন রাজ্যে বাড়ছে গরমের ছুটি, পশ্চিমবঙ্গে কি হবে? জেনেনিন

তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমরা দুটো বিষয় বিবেচনা করব। অহেতুক বিষয়টি নিয়ে জটিলতা বৃদ্ধি করবেন না।’’ কী সেই দু’টি বিষয়, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে, না কি বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের বাছাই করে বাতিল করা হবে — এই দু’টি মূল বিষয় আদালত বিবেচনা করবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, “যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা না-গেলে পুরো প্যানেল বাতিল বাতিল করতে হবে।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে জানুয়ারি মাসে।

পড়ুন:  Holiday: ছুটি ঘোষণা হল, রাজ্য সরকার জানিয়েছে জন্মাষ্টমী ১৬ আগস্ট, শনিবার পালিত হবে; জেনেনিন বিস্তারিত

যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বাছাই করতে মেটা ডেটা খুঁজে বার করতে হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “তা না হলে আমরা যোগ্য এবং অযোগ্য তালিকা বাছাই করতে পারব না।” একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, “সঠিক বিষয় হল এসএসসি মিরর ইমেজ রাখেনি। আসল কপি নেই। প্রমাণ বলতে শুধুমাত্র স্ক্যান কপি রয়েছে। আবার তার সঙ্গে এসএসসির বসানো নম্বরের মিল নেই। এমনকি স্ক্যানিং-এ অনিয়ম করা হয়েছে।”

পড়ুন:  শিক্ষক সহ কয়েক লক্ষ ছেলেমেয়ের নিয়োগ বন্ধ হয়ে আছে! কারণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানায় পরবর্তী শুনানি হবে জানুয়ারি মাসে। সেই হিসাবে ৭ জানুয়ারি মামলাটির শুনানি হচ্ছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে, যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থী বাছাই না হলে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেওয়া হবে। ওএমআর শিট, ‘সুপার নিউমেরারি’ পোস্ট সংক্রান্ত বিষয়ে শীর্ষ আদালতের একগুচ্ছ প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই, এসএসসি ও রাজ্যের আইনজীবী।