SSC মামলা, সুপ্রিম কোর্ট: এবার ২০১৬ সালের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এসএসসির ২০১৬ সালের গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াটি দূর্নীতিমূলক বলে মন্তব্য করলেন তিনি। ফের পরীক্ষা হোক, অসুবিধা কোথায়? যাঁরা যোগ্য ঠিক তাঁরা যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারবেন, এর মধ্যে অসুবিধা তো কিছুই নেই! এমনই মন্তব্য করলেন তিনি।
বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “একটা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আমরা বলছি দুর্নীতিগ্রস্থ নিয়োগ প্রক্রিয়া। এবং এটা নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্কের পর শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ জানায় গোটা প্যানেল বাতিল করতে হবে। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নেতৃত্বধীন বেঞ্চে এই নিদের্শ দেয়। হাইকোর্টে দীর্ঘদিন শুনানি হয়। আদালত সব পক্ষের কথা শোনে। আদালত বলেছিল গোটা প্রক্রিয়াটিই দুর্নীতিমূলক। আর এই দুর্নীতি মূলক প্রক্রিয়ার মধ্যে কে ঠিক চাকরি পেয়েছে, আর কে বেআইনী এই বাছাইটা করবে কে? যে জিনিসের উৎপত্তিটাই একটি দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে তাঁর ফসলটা সবই দুর্নীতিগ্রস্থ। অনেকের কষ্ট হবে ঠিকই, কিন্তু তাঁরা সুপ্রিম কোর্ট থেকে যে অন্তর্বর্তী আদেশ নিয়েছিল, সেখানেও তো বলা হয়েছিল যে টাকা ফেরত দিতে হবে। এই সব জেনেই তো তাঁরা কাজ করেছেন।”
যোগ্য প্রার্থীদের একাংশ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে বিকাশবাবু বলেন, “সুকান্তবাবু কি চাইছেন দুর্নীতি মূলক এই নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সুনীতি হবে? নাকি বিজেপির বিভিন্ন রাজ্যে যে দুর্নীতি হচ্ছে সেই রকম বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। স্পষ্ট কথা বলতে আপত্তি কোথায়, যে প্রক্রিয়াটি দূর্নীতিমূলক সেটি বাতিল করা হোক। পরীক্ষা হোক, অসুবিধা কোথায়? যাঁরা যোগ্য ঠিক তাঁরা যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারবেন। এর মধ্যে অসুবিধা তো কিছুই নেই। এখন সুপ্রিম কোর্ট কি বলে দেখা যাক। ভারতবর্ষের সুপ্রিম কোর্ট এর আগেও এরকম বহু রায় দিয়েছে, যেখানে সবার চাকরি বাতিল হয়েছে। ছাত্রদের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়েছে। এখানে সুপ্রিম কোর্ট বলছে, কে টোকাটুকি করেছে আর কে টোকাটুকি করেনি তা কীভাবে নির্ণয় করবে? আসলে ২০১৬ র প্যানেল তো নেই।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পুরো পরীক্ষা বাতিল, না খোঁজ ঘুষদাতাদের, শুনবে দেশের সর্বোচ্চ আদলত সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে কলকাতা হাই কোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলছে।