Homeপশ্চিমবঙ্গপশ্চিমবঙ্গ: বৈষম্য দূর করতে বড় পদক্ষেপ! বাংলার সরকারি কর্মী-অফিসারদের জন্য এল এই...

পশ্চিমবঙ্গ: বৈষম্য দূর করতে বড় পদক্ষেপ! বাংলার সরকারি কর্মী-অফিসারদের জন্য এল এই বড় খবর, জেনেনিন

বৈষম্য দূর করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি হাইপাওয়ার্ড কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন। কীভাবে বৈষম্য দূর করা যায় সেটার খসড়া এই বৈঠকে তৈরি করা হবে বলে খবর। এই হাইপাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান...

নিউজ ডেস্ক: বাংলার সরকারি কর্মী-অফিসারদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে সচেষ্ট হচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের মনে একটি বিশেষ বিষয় নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। এই অবস্থায় এবার সেটা দূর করতেই উদ্যোগী রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার তাই নবান্নে বসতে চলেছে হাইপাওয়ার্ড কমিটির বৈঠক।

আসলে নবান্নের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের নানান সেক্রেটারিয়েট কিংবা সচিবালয়ের কর্মীরা সর্বদা বাড়তি সুযোগ সুবিধা পান, পদোন্নতির ক্ষেত্রেও তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অন্যান্য সরকারি কর্মীরা কেন সেটা পান না? প্রায়শয়ই মাথাচাড়া দেয় এই প্রশ্ন। এবার সেই অভিযোগের নিরসন করতে উদ্যোগ নিচ্ছে।

বৈষম্য দূর করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি হাইপাওয়ার্ড কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন। কীভাবে বৈষম্য দূর করা যায় সেটার খসড়া এই বৈঠকে তৈরি করা হবে বলে খবর। এই হাইপাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই পাবলিক সার্ভিস কমিশনের একজন যুগ্ম অধিকর্তা, পূর্ত দফতরের যুগ্ম সচিব এবং অর্থ ও পার্সোনেল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে এই কমিটিতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনটি ধাপের নিয়ম মেনে রাজ্য প্রশাসন চলে। সবার প্রথমে সেক্রেটারিয়েট, এরপর ডিরেক্টরেট এবং শেষে রিজিওনাল অফিস। সেক্রেটারিয়েট বিভাগের কর্মীরা যেমন বেশি সুযোগ সুবিধা পান, তেমনই তাঁদের প্রোমোশনের সুযোগও বেশি। এখানে লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক পদে কর্মরত কর্মী পদোন্নতি পেতে পেতে স্পেশ্যাল সেক্রেটারি অবধি হতে পারেন। তবে বাকি দুই বিভাগের কর্মীদের কাছে এই সুযোগ থাকে না। শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেও এই সুযোগ থেকে তাঁরা বঞ্চিত হন। খুব বেশি হলে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার হতে পারেন তাঁরা।

পড়ুন:  '৭ দিনের মধ্যে', রাজ্যের শিক্ষকদের জন্য পুজোর আগে বড় খবর, জেলায় জেলায় গেল চিঠি

এই নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে বলে খবর। এবার সেটা দূর করতেই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এখন আজ নবান্নে হাইপাওয়ার্ড কমিটির বৈঠকে কী হয় আপাতত সেটাই দেখার।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments