নিউজ ডেস্ক: ২০২২-এর প্রাথমিকে কেন সুযোগ পাবেন না ডিএলএড করা চাকরি প্রার্থীরা? প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অবস্থান জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দিয়েছেন, ডিএলএড পড়ুয়াদের নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে অবস্থান জানিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে। প্রাথমিকে কোন প্রশিক্ষণ থাকলে যোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে। কেন ২০২২ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ডিএলএড প্রার্থীরা সুযোগ পাবেন না। সুস্পষ্ট জবাব দিতে হবে পর্ষদকে। ডিসেম্বর মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার চাকরিতে বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তেরা সুযোগ পাবেন না। প্রাথমিকে শিক্ষক পদে শুধুমাত্র ডিএলএডরা সুযোগ পাবেন। এরপরেই প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়েন বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তেরা। আর এখানেই কিছু চাকরি প্রার্থী অন্যরকম সমস্যায় পড়েন।
সুপ্রিম কোর্টের ওই রায় আসার আগে পশ্চিমবঙ্গে ২০২২ সালের টেট এবং প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রথমে পর্ষদ জানায়, বিএড অথবা ডিএলএড যে কোনও একটি প্রশিক্ষণ থাকলেই আবেদন করা যাবে। সেই মতো অনেক বিএড প্রার্থী আবেদন করেন। কিন্তু আদালতের রায় আসার পরে পর্ষদ জানিয়ে দেয় বিএড করা প্রার্থীরা শিক্ষক পদে সুযোগ পাবেন না। ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয় বিএডদের।
বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অনেকে দাবি করেন, তাঁরা ডিএলএড কোর্সেও ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরে ওই কোর্স সম্পূর্ণ হওয়ায় নতুন করে তাঁদের আবেদন করার সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। যদিও এই প্রার্থীদের আবেদনে সাড়া দেয়নি পর্ষদ। শুভ্রাংশু পাঠক-সহ কয়েক জন কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
আদালতে পর্ষদ জানায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই এই কাজ করা হয়েছে। বর্তমান রায় অনুযায়ী ডিএলএড গ্রাহ্য। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এখন যাঁরা ডিএলএড করছেন তাঁরা সুযোগ পাবেন না এমন কিছু বলা রয়েছে? ওই কোর্সে পড়ছেন এমন চাকরিপ্রার্থীদের ২০২২ সালের টেটে সুযোগ পাবেন কি না হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে।