টেট পরীক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ: এ বছর আর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টিচার এলিজেবিলিটি টেস্ট বা টেট (TET) পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। বাতিল করা হল নতুন প্রাথমিকের টেট, আইনি জটিলতা ও উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগে দেরির জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
এই বিষয়ে পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘আদালত নিয়মিত টেট পরীক্ষা গ্রহণ করতে বলেছে। আমরা সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে তা করব। এ বছর বিলম্ব হচ্ছে, কিন্তু আগামী ৬ মাসের মধ্যে তা গ্রহণ করা হবে।’’
বছরে দুই বার নেওয়া হয় সেন্ট্রাল টেট (Central TET)। রাজ্যেও প্রতি বছর টেট পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তবে চলতি বছরে আর প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না।
চলতি বছর হচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টিচার এলিজেবিলিটি টেস্ট (TET) পরীক্ষা। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর পর দু’বছর পরীক্ষা হওয়ার পর এ বার টেট না হওয়ার কারণ হিসাবে আইনি মামলা এবং পূর্বে পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ না হওয়াকেই ‘দায়ী’ করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে টেট পাশ করা চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে আজও ধর্মতলায় ধরনা মঞ্চে বসে আছেন। চাকরির দাবি নিয়ে লাগাতার ধরনা আন্দোলন চালাচ্ছেন তাঁরা। এর পাশাপাশি অপেক্ষায় রয়েছেন ২০১৭ এবং ২০২২-এর চাকরিপ্রার্থীরা। ২০২৩ সালের নেওয়া টেট পরীক্ষার ফল এখনও প্রকাশ হয়নি। এই অবস্থায় চলতি বছরের টেট পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না।