‘আমার কিছু বলার আছে’, আদালতে দাঁড়িয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য সঞ্জয়ের! যা বললেন, হিসাব সব গুলিয়ে দেবে

সোমবারই শিয়ালদহ আদালতে আরজিকর কাণ্ডে চার্জশিট জমা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেখানে বলা হয়েছিল, গণধর্ষণ নয়, আরজি কর ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে অভিযুক্ত একজন-ই, সঞ্জয় রায়।

977
আরজিকর সঞ্জয় রাই

নিউজ ডেস্ক: সোমবারই শিয়ালদহ আদালতে আরজিকর কাণ্ডে চার্জশিট জমা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেখানে বলা হয়েছিল, গণধর্ষণ নয়, আরজি কর ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে অভিযুক্ত একজন-ই, সঞ্জয় রায়। তবে এবার মুখ খুলল অভিযুক্ত সঞ্জয়। নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করল সে।

আরজিকর কাণ্ডে ৫৮ দিনের মাথায় প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। মৃত চিকিত্‍সক-পড়ুয়ার ময়না তদন্তের রিপোর্টে নির্যাতিতার শরীরে ২৫টিরও বেশি গভীর ক্ষতের উল্লেখ পাওয়া যায়। ১৬টি বাহ্যিক আঘাত, ৯টি অভ্যন্তরীণ আঘাত পাওয়া গেছে। নির্যাতিতার মাথা, মুখ, ঠোঁট, চোখ, ঘাড়, হাত ও যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষতের উল্লেখ রয়েছে সিবিআইয়ের রিপোর্টে। 

এর আগে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট ছিল যে নির্যাতিতার উপর কী ভয়াবহ ও নারকীয় নির্যাতন চলেছিল। সাইকোমেট্রিক টেস্টে আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের ‘অ্যানিমাল ইনস্টিংক্ট’ বা ‘হিংস্র জন্তুর মতো প্রবৃত্তি’র প্রমাণও মেলে।

সঞ্জয়কে কাঠগড়ায় আনা হয়।  আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় বিচারককে বললেন, তার কিছু বলার আছে, সে কিছু বলতে চায়। সঞ্জয় জানায়, আগের দিনও বলতে পারিনি। না বলতে পারলে সব দোষ আমার উপর পড়বে।

পড়ুন:  'কলকাতার ডাক্তার ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়নি, কিন্তু...': আদালত যা বলেছে সিবিআই, বিপদ আরও বাড়ছে সন্দীপের

বিচারক সঞ্জয়কে বলেন, আপানার যা বলার সব বলতে পারবেন। আইনজীবীকে বলবেন। অনুমতি পেয়ে সঞ্জয় বলে, আমি কিছুই করেনি! ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানে না সে! সঞ্জয় মন্তব্য করে, “আমি কিছুই জানিনা। আমি কিছু করিনি।”