শিক্ষক সংখা: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ ক্রমেই অনিয়মিত হয়ে পড়ছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দীর্ঘদিন ধরেই প্রকাশ হয়নি। শিক্ষকের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে পঠন-পাঠন। যদিও শিক্ষা দফতরের দাবি স্কুলশিক্ষকের সংখ্যা বেড়েছে এক দশকে। শিক্ষা দফতরের দাবিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রকাশিত একটি বইয়ে শিক্ষকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে ২০১১-’১২সালে যেখানে শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৪৮২, সেখানে ২০২২-’২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৭৭১ জনে। একই সময়সীমায় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকের সংখ্যা ২৪ হাজার ৭০৪ জন থেকে কমে হয়েছে ২৪ হাজার ২০১।
প্রাথমিক স্কুলগুলির ক্ষেত্রে শিক্ষকের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। ২০১১-’১২ সালে এই স্তরে শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৭০৪। ২০২২-’২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৬ হাজার ৩৮৪। কিছুদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ হল, ফের দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারেবারে শিক্ষক নিয়োগের কথা বলেছেন।
উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের একাংশের দাবি, শিক্ষকের সংখ্যা যে কমেছে, সে তথ্য বলছে শিক্ষা দফতরের পরিসংখ্যানই। বস্তুত, যত জনশিক্ষক কমেছে বলে দফতর জানাচ্ছে, প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে বেশি। বাস্তব হল, বহু স্কুলে শিক্ষক না থাকায় পঠনপাঠন বন্ধ হওয়ার মুখে। শিক্ষক-সংখ্যার সামান্য বৃদ্ধিকে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি বলে দাবি করা পরিহাসের মতো শোনাচ্ছে।’’